রিপোর্ট : রফিকুল ইসলাম রুবেল
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে সাংবাদিকদের হয়রানি বন্ধসহ এই আইন বাতিলের দাবি জানিয়েছেন ভৈরবে কর্মরত গণমাধ্যমকর্মীরা। সময় টিভির প্রধান বার্তা সম্পাদক মুজতবা দানিশের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা ও তাঁকে হয়রানির প্রতিবাদে আজ সোমবার সকালে করা মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভা থেকে এই দাবি জানান তারা।
সময় টিভির স্থানীয় স্টাফ রিপোর্টার মো. ফজলুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ওইসব কর্মসূচীতে এ সময় বক্তব্য রাখেন যুগান্তরের প্রতিনিধি আসাদুজ্জামান ফারুক, এনটিভির স্টাফ রিপোর্টার মোস্তাফিজ আমিন, একুশে টিভির কাজী ইসফাক আহমেদ বাবু, বাংলাটিভির এমআর সোহেল সেন, বাংলাভিশনের সত্যজিৎ দাস ধ্রুব, সমাধান টিভির চেয়ারম্যান আব্দুল লতিফ, সাপ্তাহিক জনপদ সংবাদের বিল্লাল হোসেন মোল্লা, গাজী টিভির এমএ হালিম, মাইটভির শাহিনূর, মোহনা টিভির জামাল আহমেদ, গ্লোবাল টিভির জয়নাল আবেদিন লিটন, সাংবাদিক এমআর রুবেল, ছাবির উদ্দিন রাজু, জ.ই পরশ, এশিয়ানটিভির আলহাজ¦ সজীব আহমেদ, সময়ের আলোর রাজীবুল হাসান, পূর্বকণ্ঠের তূর্জা, বিজয় টিভির সোহানুর রহমান, সমাধান টিভির প্রতিনিধি রফিকুল ইসলাম রুবেল, নাগর টিভির শামসুল হক মামুন, নাঈম মিয়াসহ বিভিন্ন প্রিণ্ট ও ইলেক্ট্রিক মিডিয়ার সাংবাদিকরা।
এ সময় বক্তারা বলেন, একদিকে সকারের আইন, স্বরাষ্ট্র ও তথ্যমন্ত্রী বলছেন এই আইনে সাংবাদিকদের হয়রানি করা হবে না। অন্যদিকে হরহামেশাই এই আইনে করা মামলায় সাংবাদিকরা গ্রেপ্তারসহ নানা হয়রানির শিকার হচ্ছেন।
দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে সংবাদ পরিবেশন করলেই সাংবাদিকের বিরুদ্ধে ডিজিটাল আইনে মামলা দিয়ে গ্রেপ্তার ও হয়রানি করা হচ্ছে। ফলে আইনটি হয়ে উঠেছে সাংবাদিক নির্যাতনের একটি কালো আইন। যার সবশেষ শিকার হয়েছেন দেশের জনপ্রিয় স্যাটেলাইট টেলিভিশন সময় টিভির বার্তা প্রধান মুজতবা দানিশ।
ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের ভৈরব বাসস্ট্যান্ড দুর্জয়মোড়ে ঘণ্টাব্যাপী চলা ওই মানববন্ধনে বক্তারা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, অবিলম্বে মুজতবা দানিশের বিরুদ্ধে করা মামলা প্রত্যাহার করতে হবে। গণমাধ্যম ও গণমাধ্যকর্মীদের কণ্ঠরোধ করতে অপব্যবহার হওয়া এই কালো আইন বাতিল করতে হবে। অন্যথায় দেশের গণমাধ্যমকর্মীরা বৃহত্তর আন্দোলন গড়ে তুলতে বাধ্য হবেন।