রিপোর্ট, পাবেল মৃধা: আজও মানবেতর জীবনযাপন করছেন চা শ্রমিকরা৷ এঁদের দৈনিক মজুরি ৮৫ টাকা , যা আন্দোলনের পরে বেড়ে হয়ছে ১৭০ টাকা, অন্য যে কোনো শ্রমিকের মজুরির তুলনায় কম৷ তার ওপর নেই কোনো স্বাস্থ্য সেবা, নেই শিশুদের জন্য পর্যাপ্ত স্কুল৷ এমনকি যে জমিতে থাকেন, তা-ও চা বাগান মালিকের৷
দু’টি পাতার একটি কুঁড়ির বিভাগ সিলেট। ১৫৬টি চা বাগানের মধ্যে ১২০টির অবস্থান এই বিভাগে। মৌলিবীবাজার জেলায় রয়েছে ২০-২৪টি চা বাগান। আর এসব বাগানের চা শ্রমিকেরা মানবেতর জীবন যাপন করছেন। চা গাছ ছেঁটে যেভাবে ২৬ ইঞ্চির বেশি বাড়তে দেয়া হয় না। চা শ্রমিকের জীবনও যেন চা গাছের মতোই। লেবার লাইনের ২২২ বর্গফুটের কুড়ে ঘরে বন্দী। চা বাগানের জীবনও যেনো এক বিচ্ছিন্ন দ্বীপের মতো। আর বাগানটাই শ্রমিকদের কাছে গোটা পৃথিবী। দিনে আট ঘণ্টা টানা কাজ করেও সকালে চা-পাতা ভাজা, দুপুরে শুকনা রুটি এবং রাতে মরিচ দিয়ে ভাত খেয়ে জীবন কাটাচ্ছেন মৌলিবীবাজারের মাধবপুর লেকের চা শ্রমিকরা। টানা আট ঘন্টার প্রচন্ড পরিশ্রম শেষে প্রতিদিন একজন শ্রমিক ১৫-২০ কেজি চা-পাতা সংগ্রহের পরেও মজুরি হিসেবে পাচ্ছেন মাত্র ১৭০ টাকা। অনেক আন্দোলনের পর চা শ্রমিকদের দৈনিক মজুরি মাত্র ৯০ টাকা বাড়িয়ে ১৭০ টাকা করা হয়েছে। তবে এ মজুরিতে সন্তুষ্ট নয় চা শ্রমিকরা।
এই টাকায় শ্রমিকরা না নিজে ভালোভাবে খেয়ে পড়ে বাঁচতে পারছেন, না তাদের সন্তানরা ভালোভাবে বেড়ে উঠছে। আর পর্যাপ্ত খাবারের অভাবে চা শ্রমিক ও তাদের পরিবারের সদস্যরাও অপুষ্টিতে ভুগছেন।