সোহরাব উদ্দিন জনিঃ
চাদাঁ না দেওয়ায় প্রবাসির জমি দখলের চেষ্টা, পরিবারের উপর সন্ত্রাসি হামলা হয়েছে। এ ব্যাপারে কিশোরগঞ্জ দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে আইন শৃঙ্খলা বিঘ্নকারী অপরাধ, দ্রুত বিচার আইনের ৪(১)/৫ ধারায় প্রবাসির মামা সুলতান মিয়া বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেছে ।
মামলার বিবরণী ও সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, জেলার হোসেনপুর উপজেলার লাকুহাটি গ্রামের বকুলা খাতুন। তার ২ পুত্র দ্বীর্ঘদিন যাবৎ সৌদি প্রবাসি। বিধবা বকুলা খাতুনের আর কোন সন্তান না থাকায় ২ পুত্রবধূ নিয়ে গ্রামের বাড়িতে বসবাস করছে। নিরিহ পরিবারটি যখন অর্থনৈতিক ভাবে সচ্ছতার মুখ দেখছে ঠিক সেই সময় পার্শ্ববর্তী মোঃ রশিদের পুত্র মোঃ কাঞ্চন মিয়া ১০ লক্ষ টাকা চাদাঁ দাবী করে। চাদাঁ দিতে অস্বীকার করলে কাঞ্চন তার জায়গা সম্পত্তির দখল করতে আসে। প্রবাসী টাকার গন্ধে এক পর্যায়ে কাঞ্চন তার দলবল নিয়ে টিন-বাস দিয়ে বকুলা বাড়ীর সম্মুখে দূচালা ঘর তৈরী করে ।
এমতাবস্থায় বকুলা ও তার ২ পুত্রবধূ বাধাদিলে তাদের উপর চরাও হয়। এ সময় তাদের সাথে থাকা দেশীয় অস্ত্র, রাম দা,ছুরি, রড, লাঠি-সোটা নিয়ে বকুলা ও ২ পুত্রবধূ ছনিয়া ও মদিনাকে বেদম মারপিট এবং জামা-কাপড় টেনে-ছিরে শ্লীলতাহানি করে। কাঞ্চনের ভাই গোলাপ মিয়ার লাথির আঘাতে ৭ মাসের অন্তঃস্বত্বা মদিনা মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। তাদের রোষানলে স্বীকার হয়ে ঝগড়া-বিবাদ মিটাতে আসা প্রতিবেশী বাবুুল মিয়া অস্ত্রের আঘাতে মারাত্বক আহত হয়। এমতাবস্থায় স্থানীয় লোকজন মুমূর্ষ মদিনা, রক্তাত্ব বাবুল মিয়া ও বকুলা খাতুন ও ছনিয়াকে কিশোরগঞ্জ ২৫০ শয্যা আধুনিক হাসপাতালে ভর্তি করে। হাসপাতালে ভর্তি হলে ভর্তিকৃত জখমীদের কাঞ্চনের বাহিনী হাসপাতালে প্রান নাশের হুমকী দেয়। তার এমন হুমকিতে প্রান নাশের ভয়ে হাসপাতাল থেকে চিকিৎসাধীন অবস্হায় পালিয়ে আসে। বর্তমানে উক্ত প্রবাসির পরিবারটি জান-মালের নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে।
এ বিষয়ে গাংগাটিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলামের সাথে মুঠো ফোনে যোগায়োগ হলে তিনি প্রবাসির পরিবারের উপর আক্রমনকে ন্যাক্কার জনক বলে দুঃখ প্রকাশ করেন।