সিনিয়র প্রতিনিধি: জ্যেষ্ঠতা উপেক্ষা করে যাকে তাকে দলের নীতি নির্ধারণী ফোরামের সদস্য হিসেবে গণহারে পদোন্নতি দেওয়ায় ক্ষোভে অভিমানে দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিবের পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য লিয়াকত হোসেন খোকা। তবে এরশাদের নেতৃত্বে জাতীয় পার্টির একজন সাধারণ কর্মী হিসেবে তিনি রাজনীতিতে সক্রিয় থাকবেন বলে জানা গেছে।
বৃহস্পতিবার বিকালে তিনি যুগ্ম মহাসচিবের পদ থেকে পদত্যাগ করেন। পদত্যাগপত্র জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের কাছে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।
জাতীয় পার্টি ৮ নেতাকে বৃহস্পতিবার পদোন্নতি দিয়ে প্রেসিডিয়াম সদস্য মনোনীত করেন দলটির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ। যাদের পদোন্নতি দেওয়া হয়েছে তাদের মধ্যে বর্তমান পদ পদবির দিক দিয়ে এমপি খোকার অনেক জুনিয়রও প্রেসিডিয়াম সদস্য হয়েছেন। যার কারণে ক্ষোভে অভিমানে দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিবের পদ থেকে পদত্যাগ করেন এমপি খোকা। জাপা চেয়ারম্যান ৮ জনকে প্রেসিডিয়াম সদস্য করেছেন বলে জানানো হলেও কিন্তু তার অসুস্থতার সুযোগ নিয়ে সুযোগ সন্ধানি একটি গ্রুপ জাতীয় পার্টিতে এই গণহারে পদোন্নতিতে ভূমিকা রেখেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
গণহারে পদোন্নতিতে ক্ষোভ প্রকাশ করে পদত্যাগের সত্যতা নিশ্চিত করে এমপি লিয়াকত হোসেন খোকা বলেন, সাবেক সফল রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের অসুস্থতার সুযোগ নিয়ে সুযোগ সন্ধানী অযোগ্য নেতৃত্ব জাতীয় পার্টির সাধারণ কর্মীদের আবেগ নিয়ে ছিনিমিনি খেলে চলছেন। জাতীয় পার্টিতে এই অযোগ্য নেতৃত্বের কারণে আমি পার্টির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব পদ থেকে পদত্যাগ করলাম।
তিনি আরো বলেন, এখন থেকে আমার পরিচয় আমি পল্লীবন্ধু হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ ও জাতীয় পার্টির একজন সাধারণ কর্মী। একজন সাধারণ কর্মী হিসেবে জাতীয় পার্টির প্রাথমিক সদস্য পদে বহাল থাকবেন বলেও জানান তিনি।
অসুস্থ এরশাদ দলের গঠনতন্ত্রের ক্ষমতাবলে বৃহস্পতিবার দলের ৮ নেতাকে প্রেসিডিয়াম সদস্য হিসেবে পদোন্নতি দেন। তারা হলেন, সাবেক মন্ত্রী সৈয়দ দিদার বখত্, এরশাদের উপদেষ্টা কাজী মামুনুর রশিদ, সাবেক এমপি জাফর ইকবাল সিদ্দিকী, সংরক্ষিত আসনের বর্তমান এমপি ও এরশাদের উপদেষ্টা নাজমা আকতার, যুবসংহতির সভাপতি আলমগীর সিকদার লোটন, ভাইস চেয়ারম্যান এমরান হোসেন মিয়া, কেন্দ্রীয় নেতা আব্দুস সাত্তার মিয়া, মেজর (অব.) রানা মোহাম্মদ সোহেল এমপি।
এছাড়া এরশাদের আন্তর্জাতিক বিষয়ক উপদেষ্টা হিসেবে মনোনীত করেছেন মাহমুদুর রহমান মাহমুদকে।