মোঃ নূরুন্নবী ভূঁইয়া, কুলিয়ারচর (কিশোরগঞ্জ) সংবাদদাতাঃ
করোনার মধ্যদিয়ে কোন ফসলী জমি অনাবাদি রাখা যাবেনা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এ অমন্ত্রণকে স্বাগত জানিয়ে কিশোরগঞ্জ জেলার কুলিয়ারচর উপজেলার বাজরা- মাছিমপুর দক্ষিনপাড়া (ভবানীপুর) এলাকায় প্রায় দেড় শত একর ফসলী জমি পানি নিষ্কাসনের ব্যবস্থা না থাকায় আবাদ করতে পারছেনা এলাকার ২৫ জন কৃষক। ইতিপূর্বে তারা একটি সরু নালা দিয়ে পানি নিষ্কাসন করতো। বর্তমানে জমি ভেঙ্গে যাওয়ায় নালা দিয়ে পানি নিষ্কাসন করতে দিচ্ছেনা সোহরাব মিয়া ও তার ভাই সোহাগ। যার ফলে কৃষকের ২৫ কানি জমি এখন অনাবাদী হয়ে পড়ে আছে।
এ ব্যাপারে কৃষক শামসুল হক ভূঁইয়ার ছেলে মাহফুজ উদ্দিন ভূঁইয়া বলেন, আমাদের ২৫/৩০ কানি জমি এখন পানির নিচে। পানি নামলে আমাদের উপকার হয়। আমরা কয়েকবার চেয়ারম্যানের কাছে গিয়েছি। চেয়ারম্যান বলছে পাকা ড্রেনের ব্যবস্থা করে দিবো। অতিরিক্ত পানিতে আমাদের জমি নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। শুনেছি ১ লক্ষ টাকা বাজেট আসছে।
বাদশা মিয়ার ছেলে কৃষক শাহজাহান মিয়া বলেন, জমির পানি নামার জায়গা নাই। আগে ড্রেন ছিলো এখন তা বন্ধ। চেয়ারম্যান বলছে একটা অনুদান দেবে। দেয়- দিচ্ছির মাঝে ঘুড়াচ্ছে।
মুসলিম খাঁ এর ছেলে কৃষক হারন মিয়া বলেন, আমাদের জমি গুলোর পানি নিষ্কাসনের ব্যবস্থা করে দিলে উপকার পেতাম। অতিরিক্ত পানির জন্য জমি করতে পারছিনা আমরা।
এ ব্যাপারে সালুয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মাহবুবুর রহমান বলেন, হারুনের আপন ভাতিজি আমাদের ইউপি সদস্য। তাকে আমি অনুরোধ করেছি অন্য প্রজেক্ট না করে এ ড্রেনটা করে দিতে কিন্তু তিনি তা করছেন না। মহিলা সদস্য উনার বাড়ির সামনে ড্রেনটা। উনাদেরও সমস্যা হচ্ছে। জানুযারীতে রাস্তা হবে। নভেম্বর- ডিসেম্বরে টেন্ডার হবে।
সোহরাব মিয়া বলেন, এটা ব্যাক্তিগত জায়গা। কৃষকরা বলছে ড্রেন পাকা করবে, কিন্তু করছে না। আমার ক্ষতি করে তো আমি ড্রেন দিতে পারবো না। সব পানি এ দিক দিয়ে আসে। আমার ১২ টি লিচু গাছ পানির কারণে মারা গেছে। পাইপ দিয়ে বা পাকা করে ড্রেন করে পানি সরালে আমারতো কোন আপত্তি নেই।
এ ব্যাপারে ভুক্তভোগী কৃষকেরা সরকারী উদ্দ্যোগে ড্রেনটি পাকা করার দাবী জানান।