মোঃ রফিকুল ইসলাম রুবেল, ভৈরব (কিশোরগঞ্জ) প্রতিনিধিঃ
কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচরে উপজেলার আগরপুর বাসস্ট্যান্ড এলাকায় দোকান ও বাড়ি-ঘরে মধ্য রাতে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর ও জোরপূর্বক জমি দখলের অভিযোগ উঠেছে উপজেলার রামদী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলাল উদ্দিনের বিরুদ্ধে।
২৪ সেপ্টেম্বর উপজেলার আগরপুর বাস স্ট্যান্ড এলাকায় এই লুটপাট ও জমি দখলের ঘটনা ঘটে।
২৬ সেপ্টেম্বর দুপুরে ক্ষতিগ্রস্ত ইউনিয়নের বাগপাড়া গ্রামের মৃত আবু তাহের মিয়ার ছেলে মেরাজ মিয়া সাংবাদিকদের কাছে এই বিষয়ে অভিযোগ করেন।
মেরাজ মিয়া অভিযোগ করে বলেন, ‘পূর্ব বিরোধের জের ধরে ২৪ সেপ্টেম্বর ভোর রাত আনুমানিক ৩ টার দিকে রামদী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলাল উদ্দিন ও চেয়ারম্যানের ডানহাত নামে পরিচিত ভূমিদূস্য সন্ত্রাসী বাগপাড়া গ্রামের আব্দুল হাই মিয়ার ছেলে মো: সবুজ মিয়া, শাহজাহান,এমাদ,মজলু মিয়া,রুবেল, মোশাররফ, বাদল মিয়া, এরশাদ মিয়ার নেতৃত্বে ৭০/৮০ জন সন্ত্রাসী দেশীয় অস্ত্র রামদা ও লাঠিসোটা এবং পরিষদের বেকু নিয়ে রাতের আধারে আমার নির্মাণকৃত মার্কেটের দোকানপাট ও বাসা বাড়িতে হামলা চালিয়ে ১০টি দোকান ও ৪টি বসত ঘর ভাঙচুর ও লুটপাট করে।
তিনি আরও বলেন, ‘তারা আমাদের পৈত্রিক সূত্রে পাওয়া জমি জোরপূর্বক দখল করে স্থাপনা নির্মাণ শুরু করেছে। এ ছাড়া ও চেয়ারম্যান ও তার লোকজনের হামলায় প্রায় ৪০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। চেয়ারম্যানের সন্ত্রাসী ভূমিদূস্য সবুজের লোকজনের কারণে আমি এলাকায় ঢুকতে পারছিনা। যে কোন সময় তারা প্রাণে মেরে ফেলতে পারে আমাকে। তাই মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে সাহায্য কামনা করছি।
ভুক্তভোগী মেরাজ মিয়ার অভিযোগে ২৬ সেপ্টেম্বর দুপুরে কুলিয়ারচরের সাংবাদিক সহ কয়েকজন সাংবাদিক সরজমিনে ঘটনারস্থলে গেলে চেয়ারম্যানের সন্ত্রাসী ভূমিদূস্য সবুজ সহ ১০/ ১২ জন সন্ত্রাসী সাংবাদিকদের উপর চড়াও হয়ে ক্যামেরা কেরে নেওয়ার জন্য জোরাজোরি শুরু করে। এসময় সাংবাদিকদের হুমকি দিয়ে সবুজ বলে এই ঘটনায় কোন প্রকার সংবাদ প্রকাশ করলে চাদাবাজির মামলা দিয়ে দিবে এবং সাংবাদিকতা করার শাদ মিটিয়ে দিব।
স্থানীয়রা জানান ইউনিয়নের বাগপাড়া গ্রামের মৃত আবু তাহের মিয়ার ছেলে মেরাজ মিয়া দীর্ঘদিন যাবত তার পৈত্রিক জমিতে মার্কেট নির্মাণ করে ব্যবসা ও বাসা ভাড়া দিয়ে আসছে। গত ২৪ সেপ্টেম্বর মধ্যে রাতে কে বা কারা তার মার্কেট ভাঙচুর চালায়।
এই ঘটনায় থানায় কোন অভিযোগ দিয়েছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন কুলিয়ারচর থানায় অভিযোগ করেছি কিন্তু পুলিশ অজানা কারনে আমাকে কোন সাহায্য করছে না। দখল করা জমি নিয়ে কিশোরগঞ্জ আদালতে মামলা ও নিষেধাজ্ঞ চলমান আছে বলেও দাবি করেন ভুক্তভোগী মেরাজ মিয়া।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে অভিযুক্ত চেয়ারম্যান আলাল উদ্দিন মোবাইল ০১৭৪১-৩০৮১৩১ নাম্বারে একাধিকবার ফোন দেয়া হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
হামলা চালিয়ে লুটপাট ও জমি দখলের ব্যাপারে কুলিয়ারচর থানার অফিসার ইনচার্জ, মোহাম্মদ গোলাম মোস্তফার কাছে মুটোফোনে জানতে চাইলে তিনি বলেন, হামলা লুটপাট ও জমিদখলের ব্যাপারে অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।