ডেস্ক নিউজঃ
কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচরে বিএনপি’র কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ও কিশোরগঞ্জ জেলা বিএনপি’র সভাপতি মো. শরীফুল আলমসহ ২২ নেতাকর্মীর নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরো ৭০/৮০ জনকে আসামি করে কুলিয়ারচর থানায় বিস্ফোরক আইনে ফের আরো একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
গত ১৬ জানুয়ারি বিকেলে উপজেলার রামদী ইউনিয়নের নান্নু ভূইয়ার পুত্র শহিদুল ইসলাম বাদী হয়ে ১৯০৮ সালের বিস্ফোরক দ্রব্য আইনের ৩/৩-ক/৪ তৎসহ দ-বিধি আইনের ১৪৩/১৪৭/১৪৮/১৪৯/৩২৩/৩২৬/৩০৭/৪২৭/১১৪ ধারায় এই মামলাটি দায়ের করেন। মামলা নং-১০।
মামলায় উপজেলার রামদী ইউনিয়ন বিএনপি’র সভাপতি মো. মজলু মিয়া, সাধারণ সম্পাদক সাফি উদ্দিন, বিএনপি নেতা আয়েত আলী, ইসমাইল খান, মো. সারফুদ্দিন খান স্বপন, উপজেলা যুবদলের আহবায়ক আজহার উদ্দিন লিটন, যুবদল নেতা সাজ্জাত হোসেন শামিম, আব্দুল আওয়াল, কামরুল ইসলাম মুছা ও আলম ভূইয়াসহ ২২ জনের নাম উল্লেখ করেছে। মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে, বেআইনী জনতাবদ্ধে দাঙ্গা হাঙ্গামা করার উদ্দেশ্যে মারাত্মক অস্ত্রেসস্ত্রে সজ্জিত হয়ে হুকুম মতে হত্যার উদ্দ্যেশ্যে মারপিট করে সাধারণ ও গুরুত্বর জখম করতঃ ক্ষতি সাধন এবং ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে আতংক সৃষ্টি করার অভিযযোগ করা হয়।
ইতোমধ্যেই অত্র মামলায় সারফ উদ্দিন খান স্বপন, মো. জালাল মিয়া ও মো. ইয়াছিন আরাফাত নামে ৩ জনকে গ্রেফতার করে ১৭ জানুয়ারি মঙ্গলবার সকালে কিশোরগঞ্জ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে প্রেরণ করেছে কুলিয়ারচর থানা পুলিশ।
ঘটনা প্রসঙ্গে রামদী ইউনিয়ন বিএনপি’র সভাপতি হাজী মজলু মিয়া তাদের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলার ঘটনা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও কাল্পনিক দাবী করে বলেন, গত ১৬ জানুয়ারি উপজেলা পর্যায়ে বিক্ষোভ সমাবেশ সফল করার লক্ষে উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ানে গণসংযোগ করাকালে আগরপুর বাসস্ট্যান্ডে দুই দফা বিএনপি’র কেন্দ্রীয় নেতা শরীফুল আলমের উপর হামলার চেষ্টা করা হয়েছে। আমাদের নেতাকর্মীদের মারধর করা হয়েছে এবং রাতের আধারে যুবদল ও বিএনপি’র নেতাকর্মীদের বাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা, ভাংচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় শামীম মিয়ার বসত বাড়িতে ভাংচুর ও লুটপাট চালিয়ে নগদ ৪ লাখ পাঁচ হাজার টাকা দুর্বৃত্তরা ছিনিয়ে নিয়ে যায় এবং রামদী ইউনিয়ন বিএনপি’র সভাপতির স’মিলে হামলা চালিয়ে করাতকল ও সেলু মেশিন ভাংচুর করে প্রায় ৫ লক্ষ টাকার ক্ষতি করা হয়েছে। এছাড়া একটি দোকান ভাংচুর করেছে এবং বিএনপি নেতা কবির মিয়া ও আতাউর মিয়ার বাড়িতে ভাংচুর করে কয়েক লাখ টাকার ক্ষতিসাধন করেছে।
তবে এ ঘটনায় রামদী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আলাল উদ্দিন সাংবাদিকদের বলছেন ভিন্ন কথা। তিনি বলেন, রোববার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে শরীফুল আলম তার দলীয় নেতাকর্মীদের নিয়ে লক্ষীপুর থেকে ফেরার পথে আগরপুর বাসস্ট্যান্ডে গাড়ি থামায়। এ সময় বিএনপি নেতাকর্মীরা তার উপস্থিতিতে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে দোকানপাটে হামলা চালায়। এতে মো. মাসুদ মিয়া কাপড়ের দোকান, রমজান মিয়ার হোটেল ও শচীন্দ্র মালাকার চায়ের দোকানসহ ৫টি দোকান ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
অত্র মামলা দায়েরের আগে গত ৩ ডিসেম্বর ২০২২ দুপুর ১২.১৫ ঘটিকায় উপজেলার জাফরাবাদ গ্রামের আবু তাহেরের পুত্র নাজিম উদ্দিন বাদী হয়ে বিএনপি’র নেতা কর্মীদের বিরুদ্ধে ১৯০৮ সালের বিস্ফোরক দ্রব্য আইনের ৩/৩-ক/৪ তৎসহ দ-বিধি আইনের
১৪৩/১৪৭/১৪৮/১৪৯/৪৪৮/৩২৩/৩২৫/৩০৭/৪৩৬/৪০৭ ধারায় কুলিয়ারচর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলা নং-১। ওই মামলায় উপজেলার রামদী ইউনিয়ন বিএনপি’র সভাপতি মজলু মিয়া, সাধারণ সম্পাদক সাফি উদ্দিন, বিএনপি নেতা আয়াত আলী, যুবদল নেতা সাজ্জাত হোসেন শামিমসহ ২০ নেতাকর্মীর নাম ও দলীয় পদবী উল্লেখ করে আরোও অজ্ঞাত ৪০/৫০ জনকে আসামি করা হয়।