মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যস্থতায় সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে ইসরায়েল ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের মধ্যে চুক্তি হতে যাচ্ছে। এক সপ্তাহ পর এই ঘটনার প্রতিক্রিয়ায় ইসলামাবাদের অবস্থান স্পষ্ট করলেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। ফিলিস্তিনিদের কাছে গ্রহণযোগ্য একটি ফিলিস্তিন রাষ্ট্র গঠন না হওয়া পর্যন্ত পাকিস্তান ইসরায়েলকে স্বীকৃতি দেবে না বললেন তিনি।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যম দুনিয়া নিউজকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ইমরান মঙ্গলবার (১৮ আগস্ট) বলেছেন, অন্যদের পথ অনুসরণ করে ইসরায়েলকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেবে না পাকিস্তান। নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ‘অন্য দেশগুলো যা করে করুক, আমাদের অবস্থান পরিষ্কার। (পাকিস্তানের প্রতিষ্ঠাতা) কায়েদ ই আজম মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ ১৯৪৮ সালে এনিয়ে আমাদের অবস্থান স্পষ্ট করে দিয়েছেন: যতদিন না ফিলিস্তিনিদের তাদের অধিকার দেওয়া হবে এবং একটি স্থায়ী আবাস হবে ততদিন আমরা ইসরায়েলকে স্বীকৃতি দিতে পারি না।’
প্রথম উপসাগরীয় আরব দেশ হিসেবে এবং মিশর ও জর্ডানের পর মধ্যপ্রাচ্যের তৃতীয় দেশ হিসেবে গত ১৩ আগস্ট ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে চুক্তিতে সম্মতি দেয়। বাণিজ্য ও প্রযুক্তির ক্ষেত্রে এতদিন দুই দেশের মধ্যে বিচ্ছিন্ন সম্পর্ক ছিল।
ইমরান বলেছেন, পাকিস্তান যদি ইসরায়েলকে মেনে নেয় এবং ফিলিস্তিনিদের ওপর অত্যাচার না দেখার ভান করে তাহলে কাশ্মিরের ক্ষেত্রেও একই কাজ করতে হবে। কিন্তু এমনটা পাকিস্তান করতে পারে না। পাকিস্তানি প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ‘ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনের সম্পর্কে আপনি যখন কথা বলবেন, তখন চিন্তা করতে হবে যে যারা অন্যায় অবিচারের মুখোমুখি হয়েছে এবং যাদের সব অধিকার কেড়ে নেওয়া হয়েছে, তাদের যদি পরিত্যাগ করি তাহলে আমরা কী (আল্লাহর কাছে) জবাব দেবো? আমার বিবেক কখনও আমাকে এটা করতে দেবে না, আমি কখনও মেনে নিতে পারবো না এটা।’
পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম ডন বলছে, ইসরায়েল-আমিরাত চুক্তির পর ইসলামাবাদের অবস্থান নিয়ে ইমরানের বক্তব্যে তাকে ধন্যবাদ জানিয়েছে ফিলিস্তিন দূতাবাস।