আন্তর্জাতিক ডেস্ক : পাকিস্তানের সাধারণ নির্বাচনে এগিয়ে রয়েছে সেদেশের বিশ্বকাপজয়ী কিংবদন্তি অধিনায়ক ইমরান খানের দল পাকিস্তান তেহরিক-ই ইনসাফ (পিটিআই)।
প্রাথমিকভাবে ভোট গণনায় ইমরান খানের দল ১১৪ আসনে এগিয়ে রয়েছে। পক্ষান্তরে পাকিস্তান মুসলিম লীগ-নওয়াজ (পিএমএল-এন) এগিয়ে আছে ৬৪ আসনে এবং পাকিস্তান পিপলস পার্টি (পিপিপি) এগিয়ে আছে ৪২টি আসনে।
এ ছাড়া পাকিস্তান মুত্তাহিদা মজলিস আমল (এমএমএ) নয়টি আসনে ও গ্র্যান্ড ডেমোক্রেটিক অ্যালায়েন্স (জিডিএ) সাতটি আসনে এগিয়ে রয়েছে।
বৃহস্পতিবার ডন পত্রিকার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দেশটিতে বুধবার সাধারণ নির্বাচনে ভোট গ্রহণ শেষে যে ৪৭ শতাংশ ভোট গণনা হয়েছে তাতে এ ফল পাওয়া গেছে। এদিকে প্রাথমিক ফল দেখে ইমরান খানের দল পিটিআই আনন্দ-উল্লাস করছে।
অন্যদিকে নওয়াজ শরীফ অনিয়ম ও কারচুপির অভিযোগ করে ফল প্রত্যাখ্যান করার কথা বলেছেন।
এর আগে সহিংসতা, বোমা হামলা, নানা অভিযোগের মধ্য দিয়ে পাকিস্তানের সাধারণ নির্বাচনে ভোট গ্রহণ শেষ হয়। বুধবার সকাল ৮টা থেকে শুরু হয়ে ভোট গ্রহণ চলে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত। সকালে কোয়েটায় একটি ভোটকেন্দ্রের কাছে আত্মঘাতী বোমা হামলায় কমপক্ষে ৩১ জন নিহত হয়।
পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদে ২৭৪ আসন রয়েছে। তবে দুটি আসনে ভোট স্থগিত হওয়ায় ২৭২ আসনে ভোট গ্রহণ করা হয়। কোনো দলকে এককভাবে সরকার গঠন করতে হলে ১৩৭ আসনে জয় লাভ করতে হবে। এ ছাড়া নারী ও সংখ্যালঘুদের জন্য ৭০টি আসন নির্ধারিত রয়েছে। বিজয়ী দলগুলোর মধ্যে সংখ্যানুপাতে তা বণ্টন করা হবে।
পাকিস্তানের নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, ২৭২ বিপরীতে এবারের নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন তিন হাজার ৪৫৯ প্রার্থী। এরমধ্যে শুধু পাঞ্জাব থেকেই এক হাজার ৬২৩ জন, সিন্ধ থেকে ৮২৪ জন, খাইবার পাখতুনখাওয়া থেকে ৭২৫ জন ও বেলুচিস্তান থেকে ২৮৭ জন।
কোনো দল যদি সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করতে না পারে তাহলে ঝুলন্ত পার্লামেন্ট হবে। তখন ছোট-খাট দলের সমর্থন নিয়ে জোট সরকার গঠন করবে এককভাবে বেশি আসনে জয়ী দল।
তবে প্রধানমন্ত্রী হওয়ার দৌড়ে প্রাক্তন ক্রিকেট তারকা পাকিস্তান তেহরিক-ই ইনসাফের (পিটিআই) প্রধান ইমরান খানকে এগিয়ে রাখছেন বিশ্লেষকরা। ব্রিটিশ দৈনিক দ্য ইন্ডিপেনডেন্ট এক প্রতিবেদনে বলেছে, পাকিস্তানের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হওয়ার প্রতিযোগিতায় এগিয়ে রয়েছেন পাকিস্তানের বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক ইমরান খান।
প্রসঙ্গত, পাকিস্তানের ৭০ বছরের ইতিহাসে দ্বিতীয় বারের মতো নির্বাচনের মাধ্যমে একটি নির্বাচিত সরকার আরেকটি নির্বাচিত সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে যাচ্ছে। তবে ১৯৪৭ সালে স্বাধীনতা লাভের পর থেকে দেশটিতে বারবার রাষ্ট্র পরিচালনায় সেনা হস্তক্ষেপের কারণে বিভিন্ন সময়ে মেয়াদ পুর্তির আগেই পার্লামেন্ট ভেঙ্গে গেছে বা প্রধানমন্ত্রী ক্ষমতাচ্যুত হয়েছেন।