জেলা প্রতিনিধি: শেলফি তুলতে গিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ উপজেলার মেঘনা নদীতে ঢাকার নটরডেম বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই শিক্ষার্থী নিখোঁজের ১৫ ঘন্টা পরও খোজ মেলেনি তাদের। তবে ঘটনার ১৫ ঘন্টা পর নৌবাহিনীর ও ফায়ার সার্ভিসের দুটি ডুবরি ইউনিট রবিবার সকাল থেকে উদ্ধার কাজ শুরু করেছে। নৌবাহীনির ১২ সদস্যের ও ফায়ার সার্ভিসের ৯ সদস্যের দুটি ইউনিটে সকাল সাড়ে ৮টা থেকে উদ্ধার কাজ শুরু করে। ডুবরি দল গুলো শনিবার রাতে ঘটনাস্থলে পৌছলে বৈরী আবহাওয়া ও প্রবল ¯্রােতের কারণে উদ্ধার কার শুরু করতে পারেনি। শনিবার বিকেলে উপজেলার চরসোনারামপুর এলাকার জাতীয় গ্রীডলাইনের বৈদ্যুতিক টাওয়ারের কাছে সেলফি তুলতে গিয়ে নটরডেম বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্স বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী সানজিদা বিনতে তানভীর (২১) ও ইশরাকুল মেহরাব (২২) নামে নদীর পানিতে ডুবে যান তারা।
উল্ল্যেখ্য, শনিবার সকালে ঢাকা থেকে নটরডেম বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্স ও বিবিএ বিভাগের তৃতীয় বর্ষের সাত শিক্ষার্থী মেঘনা নদীতে ঘুরতে আসেন। পরে তারা সারাদিন রেলসেতু ও আশপাশ এলাকায় ঘুরে বিকেলে আশুগঞ্জের চর সোনারামপুর এলাকায় যান। সেখানে নদীর পাড়ে সেলফি তুলেন তারা। সেলফি তুলার একপর্যায়ে সানজিদা পা পিছলে নদীতে পড়ে যায়। এ সময় তিনি পানিতে ডুবে গেলে তাকে উদ্ধারের জন্য মেহরাবও পানিতে নেমে ডুবে যান। তাদের উদ্ধারের জন্য পর্যায়ক্রমে বাকি পাঁচজন পানিতে নামলে তারাও ডুবে যান। পরে স্থানীয় লোকজন নদীতে নেমে পাঁচজনকে উদ্ধার করে স্থানীয় হাসাপাতালে ভর্তি করে।
তবে সানজিদা ও মেহরাব এখনো নিখোঁজ রয়েছেন। ঘটনার পর থেকে শনিবার সন্ধ্যা থেকেই আশুগঞ্জ উপজেলা নির্বার্হী কর্মকর্তা মৌসুমী বাইন হিরা ও ভারপ্রার্প্ত কর্মকর্তা বদরুল আলম তালুকদার ঘটনাস্থলে উদ্ধার কাজের তদরকি করছেন। ঘটনার পর থেকে ফায়ার সার্ভিস আশুগঞ্জ ও ভৈরবের ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌছে উদ্ধার কাজ শুরু করে।
আশুগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মৌসুমী বাইন হিরা জানান, বৈরী আবহাওয়ার জন্য গতকাল উদ্ধার কাজ শুরু করা যায়নি। তবে সকাল থেকে উদ্ধার কাজ শুরু হয়েছে।