ডেঙ্গুতে আক্রান্ত অর্থমন্ত্রীর পক্ষে বাজেট বক্তৃতা পড়ে দেয়ার পর তার পক্ষে অর্থবিলও সংসদে উত্থাপন করলেন সংসদ নেতা ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শনিবার সংসদে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের অনুরোধে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিলটি উত্থাপন করেন।
গত ১৩ জুন অসুস্থ অর্থমন্ত্রী পুরোপুরি বাজেট বক্তৃতা পড়তে পারেননি। তখন প্রধানমন্ত্রী বাকি বক্তৃতা পড়ে দেন। দেশের ইতিহাসে যা ছিল নজিরবিহীন। বাজেটোত্তর সংবাদ সম্মেলনও করেন তিনি। এরপর সংসদে বাজেটের ওপর পুরো আলোচনায় অনুপস্থিত থাকলেও শনিবার অধিবেশনে যোগ দেন অর্থমন্ত্রী। বিলের ওপর জনমত যাচাই ও সংশোধনী নিয়ে বিরোধী দলের সদস্যদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবও দেন শেখ হাসিনা।
তার আগে বাজেটের ওপর সমাপনী ভাষণে দুর্নীতিমুক্ত সমাজ গঠনের প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখার ঘোষণা দেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, আমাদের একটা সমস্যা দুর্নীতি। অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলকারীরা সব সময়ই নিজেরা দুর্নীতির আশ্রয় নেয় আর সমাজে দুর্নীতিটাকে তারা ছড়িয়ে দেয় ব্যাধির মতো। দুর্নীতির বিরুদ্ধে আমার নীতি হচ্ছে জিরো টলারেন্স। আমি সব সময় বলেছি, জোর দিয়ে বলেছি, দুর্নীতিমুক্ত সমাজ গঠনে আমাদের প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে।
অর্থনৈতিক উন্নয়নে নেয়া নানা পদক্ষেপ তুলে ধরে তিনি বলেন, আর্থিক ক্ষেত্রে সার্বিক শৃঙ্খলা আনার জন্য বাজেটে কিছু সুনির্দিষ্ট কার্যক্রমের কথা উল্লেখ করা হয়েছে।
তিনি বলেন, খেলাপি ঋণ হ্রাসের জন্য অর্থমন্ত্রী যে উদ্যোগের ঘোষণা দিয়েছেন তা অত্যন্ত সময় উপযোগী। পাশাপাশি আমার সুপারিশ থাকবে যেন ব্যাংকঋণের ওপর সুদের হার এক অংকের মধ্যে রাখা হয় অর্থাৎ সিঙ্গেল ডিজিট। এটি করা গেলে শিল্প ও ব্যবসা খাতকে প্রতিযোগিতা সক্ষম করে গড়ে তোলা সক্ষম হবে। কারণ উচ্চহারে সুদ থাকলে কোনো ইন্ডাস্ট্রি বিকশিত হবে না।
শেখ হাসিনা বলেন, একটি সমৃদ্ধ অর্থনীতির জন্য প্রয়োজন বিকশিত একটি পুঁজিবাজার। এই বাজেটে পুঁজিবাজারের জন্য অনেক প্রণোদনা থাকছে। এসব প্রস্তাব বাস্তবায়নের মাধ্যমে পুঁজিবাজারের সম্প্রসারণ হবে। এভাবে পুঁজিবাজার তার কাঙ্ক্ষিত ভূমিকা পালনে সক্ষম হবে বলে আমি আশা করি।