উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনালে উঠেছে বায়ার্ন মিউনিখ। বুধবার (১৯ আগস্ট) দিবাগত রাতে সিঙ্গেল লেগের সেমিফাইনালে ফ্রান্সের ক্লাব লিঁওকে ৩-০ গোলে হারিয়ে ৭ বছর পর ফাইনাল নিশ্চিত করে।
সবশেষ ২০১৩ সালে চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনাল খেলেছিল জার্মানির ক্লাবটি। সেবার বরুসিয়া ডর্টমুন্ডকে ২-১ গোলে হারিয়ে পঞ্চম শিরোপা জিতেছিল। এরপর গেল ৬ বছরে আর ফাইনালে ওঠা হয়নি তাদের। যদিও তারা চারবার সেমিফাইনালে উঠেছিল এবং চারবারই বিদায় নিয়েছিল।
রোববার (২৩ আগস্ট) ফাইনালে ফ্রান্সের ক্লাব প্যারিস সেইন্ট জার্মেইর (পিএসজি) মুখোমুখি হবে বাভারিয়ানরা।
বায়ার্নের হয়ে প্রথমার্ধে জোড়া গোল করেছেন সার্জি জিনাব্রি। দ্বিতীয়ার্ধে অপর গোলটি করেছেন রবার্ত লেভানডোফস্কি।
বার্সেলোনার বিপক্ষে যে বিধ্বংসী বায়ার্ন মিউনিখকে দেখা গিয়েছিল, লিঁওর বিপক্ষে তেমনটি দেখা যায়নি। ম্যাচটি লিঁও জমিয়ে তুলতে পারতো যদি সহজ সুযোগগুলো নষ্ট না করতো।
ম্যাচের শুরুতেই দুটি দারুণ গোলের সুযোগ পেয়েছিল লিঁও। ১০ মিনিটের মাথায় মেম্ফিস দেপাই গোলরক্ষককে কাটিয়েও গোল করতে ব্যর্থ হন। এরপর কার্ল তোকো ইকাম্বিও সুযোগ পেয়েছিলেন গোলের। কিন্তু তিনি পোস্টে মেরে দেন।
১৮ মিনিটের মাথায় মাঝ মাঠ থেকে জসুয়া খিমিচের বাড়িয়ে দেওয়া বল ডানদিকে পেয়ে যান বায়ার্নের জার্সি জিনাব্রি। সেখান থেকে বামদিকে কয়েকজনকে কাটিয়ে বক্সের বাইরে থেকে বাম পায়ে শটে বল জালে পাঠান।
৩৩ মিনিটের মাথায় লেভানডোফস্কির নেওয়া শট গোললাইন থেকে ফিরিয়ে দেন লিঁওর গোলরক্ষক অ্যান্থনি লোপেস। কিন্তু বল চলে যায় সামনে থাকা জিনাব্রির কাছে। এবারও বাম পায়ের শটে নিশানা ভেদ করেন এই জার্মান ফুটবলার। এটা ছিল চ্যাম্পিয়নস লিগের চলতি মৌসুমে ৯ ম্যাচে তার নবম গোল।
বিরতির পর ৫৮ মিনিটে সোনালী সুযোগ পেয়েছিল লিঁও। এ সময় ডান দিকে বায়ার্নের গোলরক্ষক ম্যানুয়েল নয়্যারকে একা পেয়েছিলেন মুসা দেম্বেলে। তার দুই পায়ের ফাঁকা দিয়ে মারতে গিয়ে ডান পায়ে মেরে দেন মুসা।
বদলি খেলোয়াড় হিসেবে নেমে বায়ার্নের ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড ফিলিপে কৌতিনহো বল জালে জড়িয়েছিলেনও। কিন্তু অফসাইডের কারণে সেটা বাতিল হয়। অবশ্য পুরো ম্যাচে কয়েকটা সুযোগ মিস করা লেভাডোফস্কি শেষ মুহূর্তে (৮৮ মি.) গোল করে ৩-০ ব্যবধানের জয় নিশ্চিত করেন।
এটা ছিল চ্যাম্পিয়নস লিগের চলতি মৌসুমে পোল্যান্ডের এই ফুটবলারের ১৫তম গোল। আর ২০১৯-২০ মৌসুমে সব ধরনের প্রতিযোগিতায় ৫৫তম।