নিজস্ব প্রতিবেদক: পাঁচ কোটি টাকার বিদেশি বিভিন্ন ব্র্যান্ডের মদ ও বিয়ার উদ্ধারের ঘটনায় উত্তরা ক্লবের নির্বাহী সদস্য ও বার ইনচার্জ ইমরান আহমেদ এবং বার ম্যানেজার মো. মোজাম্মেল হককে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তর।
রোববার শুল্ক গোয়েন্দার প্রধান কার্যালয়ে দুপুর ২টা থেকে রাত পৌনে ৮টা পর্যন্ত তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। অতিরিক্ত মহাপরিচালক জিয়াউদ্দিনের নেতৃত্বে একটি টিম জিজ্ঞাসাবাদ করেছে বলে সংস্থাটির সূত্রে জানা গেছে। শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. মো. সহিদুল ইসলাম বিষয়টি স্বীকার করেছেন।
একটি সূত্র জানায়, ইমরান আহমেদ ও মোজাম্মেল হকের কাছে বার ও জব্দকৃত মদ সংশ্লিষ্ট নথিপত্র চাওয়া হয়েছে। তবে অধিকাংশ কাগজপত্রই দেখাতে ব্যর্থ হয়েছেন তারা।
এর আগে গত ১২ জুলাই এই দুজনকে তলব করে নোটিশ দেওয়া হয়েছিল শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে। সংস্থাটির পক্ষ থেকে পাঠানো চিঠিতে বলা হয়েছে, বিমানবন্দর থানার পুলিশ, আনসার প্রতিরক্ষা বাহিনীর সদস্যদের নিয়ে গত ৯ জুলাই উত্তরা ক্লাবে অভিযান চালানো হয়। তল্লাশি দল ক্লাবের ৫ম তলায় অবস্থিত গুদামে রক্ষিত মাদক দ্রব্যের মজুদ দেখতে চাইলে কর্তৃপক্ষ নির্দেশ না মেনে কালক্ষেপণ করতে থাকে। প্রায় চার ঘণ্টা পর তালা ভেঙে দেওয়া হলে তল্লাশি দল গুদামে প্রবেশ করে। সেখানে রক্ষিত বিভিন্ন ব্র্যান্ডের মদ ও বিয়ার মজুদের স্বপক্ষে বৈধ দলিলাদি দেখতে চাইলে ক্লাব কর্তৃপক্ষ তা দেখাতে ব্যর্থ হয়। সেখান থেকে মদ ও বিয়ারের ৩ হাজার ৪৫টি বোতল এবং ২ হাজার ৫৪১টি ক্যান জব্দ করা হয়। এগুলোর মূল্য প্রায় পাঁচ কোটি টাকা