মোঃ শাহনুর, বিশেষ প্রতিনিধি:
গত ১৭ই ডিসেম্বর সৌদিআরবের রাজধানী রিয়াদের হারার শহরে কতিপয় কিছু বাংলাদেশী দুর্বৃত্তের হামলার শিকার হয়ে মারা গেছেন বাংলাদেশি ঠিকাদার ব্যবসায়ী আমিন উদ্দিন পলাশ। শুক্রবার বিকেলে নিজ জন্ম ¯হান গ্রামে জানাযা শেষে লাশ দাফন করা হয়।
নরসিংদীর জেলার রায়পুরা থানার তুলাতুলি গ্রামের আমিন উদ্দিন পলাশ পরিবারের স্বচ্ছলতা ফিরাতে প্রায় ২৫ বছর আগে পাড়ি দেয় মধ্যপ্রাচ্যের দেশ সৌদিআরবের রাজধানী রিয়াদের হারার এলাকায়। ৪ সন্তানের জনক পলাশ রিয়াদের হারারে স্ত্রী ও ২ মেয়ে শিশু কন্যা ফাতেমা ও আমেন নিয়ে বসবাস করতেন। বাকি ২ ছেলে, আবিদ ও অভি দেশে থেকে দাদীর কাছে থেকে লেখাপড়া করছে।নিজে প্রতিষ্ঠিত হয়েও বসে থাকেনি, নিজের চেষ্টায় পরিবারের বড়ভাই শামীমকে সহ অনেক নিকটাত্মীয়দের কে প্রবাসে নিয়ে যায়।
নিহত পলাশের লাশের সাথে একই ফ্লাইটে আসা বড়ভাই শামীম জানায় –গত ১৭ই ডিসেম্বর বিকেলে রিয়াদের হারার এলাকা থেকে নরসিংদীরই এক সহকর্মীর ফোন পেয়ে দ্রত হামলার ঘটনার ¯হলে হারারে পৌছে গিয়ে দেখি যে রাস্তার পাশে রক্তাক্ত শরীলে পড়ে আছে ছোট ভাই পলাশ? প্রথমে দ্রত তাকে ¯হানীয় একটি ক্লিনিকে এবং পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য রিয়াদের বাদশা কিং আজিজ হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করি এবং ২০শে ডিসেম্বর আমার ছোট ভাই পালাশ মারা যায়, ডাক্তার জানায়, মস্তিষ্কে অতিরিক্ত রক্ষ ক্ষরণে তার মূত্য ঘটে, তার পিঠে,কাধে, মাথা সহ মুখের ডান পাশে উপর্যুপরি চাপাতির আঘাতের ফলে অতিরিক্ত রক্ত ক্ষরন হয়।
২২শে ডিসেম্বর সৌদি পুলিশের পক্ষ থেকে একটি এবং ২৩শে ডিসেম্বর পরিবারের পক্ষে বড়ভাই হিসেবে আমি আরো একটি মামলা রিয়াদের —–থানা মামলা রুজু করি–
এরই মধ্য রিয়াদের পুলিশ ঘটার সাথে সম্পৃক্তা পাওয়ায় ৪ জনকে আটক করে তারা সবাই ব্রাহ্মণবাড়ীয়া জেলার অধিবাসী হলে মামলার স্বার্থে নাম বলেনি নিহতের বড় ভাই শামীম।
শামীমের একটাই দাবি, ছোট ভাই পলাশকে যারা নির্মম ভাবে কুপিয়ে হত্যা করেছে তাদের যেন সঠিক বিচার হয়।
নিহত পলাশের জানাযায় অংশ নিতে আসা এলাকার লোকজন জানায় পলাশ এই তুলাতুলি গ্রামে শিশুদের লেখাপড়ার কোন স্কুল ছিল না,পলাশ নিজে জায়গা কিনে স্কুল প্রতিষ্ঠা করেন, সবাইকে সমান চোখে দেখতো। এলাকার সকল মানুষের বিপদআপদেও প্রবাসে থেকে সহযোগীতা করে যেত। তারা সরকারের কাছে পলাশ হত্যাকারীদের বিচার পায়।