আন্তর্জাতিক ডেস্ক : সিরিয়ার দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে সরকারি বাহিনীর বিরুদ্ধে লড়াইরত বিদ্রোহীদের মার্কিন সামরিক বাহিনীর সহায়তার আশা ত্যাগ করতে বলেছে ওয়াশিংটন। রোববার প্রথমবারের মতো জর্ডান ও ইসরায়েলের দখলকৃত গোলান মালভূমি সীমান্ত অঞ্চলে রাশিয়ার বিমান হামলার পর বিদ্রোহীদের নিজেদের পথ দেখতো বললো যুক্তরাষ্ট্র।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান জানিয়েছে, আসাদবাহিনীর বিরুদ্ধে লড়াইরত বিদ্রোহী গোষ্ঠি ফ্রি সিরিয়ান আর্মির প্রধানের কাছে ওয়াশিংটন বলেছে, ‘আমাদের সামরিক হস্তক্ষেপের প্রত্যাশার ওপর ভিত্তি করে আপনাদের কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিৎ হবে না।’
দক্ষিণ সিরিয়ায় আসাদের বিরুদ্ধে লড়াইরত বিদ্রোহী গোষ্ঠিগুলোকে সাত বছর ধরে অস্ত্র ও সমর্থন জুগিয়ে আসছিল যুক্তরাষ্ট্র। কিন্তু বিশ্লেষকদের মতে গত বছর ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পর বিদ্রোহীদের সহায়তা প্রকল্প বন্ধ করে দিয়েছেন ট্রাম্প।
গত বছর সিরিয়ার দক্ষিণে ‘যুদ্ধবিরতি অঞ্চল’ নির্ধারণে রাশিয়ার সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের চুক্তি হয়। তবে যুক্তরাষ্ট্রের অভিযোগ এরপরও ওই এলাকায় সিরিয়া সরকার ও রাশিয়া বিমান হামলা চালিয়ে আসছে। শুক্রবার নিরাপত্তা পরিষদে মার্কিন দূত নিক্কি হ্যালি, ‘যুদ্ধবিরতি অঞ্চলের চুক্তির গুরুর লঙ্ঘন এবং এর বিরুদ্ধে কঠিন ও যথার্থ পদক্ষেপ নেওয়া হবে। হ্যালির এই বক্তব্যে সিরিয়ার বিদ্রোহীরা আশার আলো দেখতে পেয়েছিল।
রোববার ওয়াশিংটনের বার্তায় বিদ্রোহীদের বলা হয়েছে, ‘আপনার যে কঠিন পরিস্থিতি মোকাবেলা করছেন তা আমাদের যুক্তরাষ্ট্র সরকার বুঝতে পারছে এবং আমরা এখনো রাশিয়া ও সিরিয়ার শাসকদের সামরিক পদক্ষেপ না নেওয়ার অনুরোধ জানিয়ে আসছি।’