নিজস্ব প্রতিবেদক, খুলনা : খুলনা মহানগরীর ৩১ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. আসাদুজ্জামান শাহিনকে চোখ বেঁধে পেটানোর অভিযোগ উঠেছে লবণচরা থানার দুই পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে।
এ ঘটনার প্রতিবাদে স্থানীয় আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা নগরীর লবণচরায় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত অবরোধ চলে।
এলাকাবাসী জানায়, মারপিটের খবর পেয়ে স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা থানায় গিয়ে শাহিনকে চোখ বাঁধা অবস্থায় দেখতে পায়। এ খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে নেতা-কর্মীরা উত্তেজিত হয়ে লবণচরা এলাকার বান্ধা বাজারে সড়ক অবরোধ করে। এতে খানজাহান আলী সেতুর সঙ্গে সড়কটি প্রায় তিন ঘণ্টা বিচ্ছিন্ন থাকে। সড়কের উভয় পাশে প্রায় চার কিলোমিটার যানজটের সৃষ্টি হয়। পরে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে পৌঁছে ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের আশ্বাস দিলে রাত ৯টার দিকে অবরোধ তুলে নেওয়া হয়।
খুলনা মহানগর যুবলীগের আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট সরদার আনিসুর রহমান পপলু জানান, অর্থ লেনদেন সংক্রান্ত অভিযোগের বিষয়ে বিকেলে লবণচরা থানায় যায় শাহিন। সেখানে গেলে এএসআই রাসেল তাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে। এর প্রতিবাদ করায় এএসআই রাসেল ও এসআই সাঈদ তাকে ধরে থানার দ্বিতীয় তলায় নিয়ে চোখ বেঁধে বেদম মারপিট করে। এক পর্যায়ে তার পায়ের আঙুল ভেঙে যায়। পরে নেতা-কর্মীরা খবর পেয়ে থানায় গেলে পুলিশ তাকে ছেড়ে দেয়।
শাহিন বর্তমানে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এ ঘটনায় অভিযুক্ত পুলিশ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হবে বলে জানান যুবলীগ নেতা পপলু।
এ বিষয়ে লবণচরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. লিয়াকত আলী বলেন, শাহিন তদবির করতে থানায় এসেছিল। তাকে মারপিট করা হয়নি। তবে তার সঙ্গে দুই পুলিশ কর্মকর্তার বাকবিতণ্ডা হয়েছে। সড়ক অবরোধের কথা সত্য নয় বলে দাবি করেছেন ওসি।
সর্বশেষ খবর অনুযায়ী, বিষয়টি মিমাংসা করতে ওসি মো. লিয়াকত আলী আওয়ামী লীগ ও যুবলীগ নেতাদের থানায় ডেকেছেন।