ক্রিড়া ডেস্ক:
‘ওপেন প্লে’ থেকে গোল করেছিলেন লিওনেল মেসি। প্যারাগুয়ের সঙ্গে ১-১ গোলে সমতায় থেকে বিরতিতে যাওয়া আর্জেন্টিনা দ্বিতীয়ার্ধের ওই গোলে জিতেই মাঠ ছাড়তো। কিন্তু বিস্ময়করভাবে তা বাতিল করে দেন ব্রাজিলিয়ান রেফারি রাফায়েল ক্লাউস। বিশ্বকাপ বাছাইয়ে বৃহস্পতিবার লা বোম্বোনেরায় প্যারাগুয়ের সঙ্গে ১-১ গোলের ড্রয়ের হতাশা নিয়ে মাঠ ছাড়লো আর্জেন্টিনা।
২০১৫ সালের কোপা আমেরিকায় আর্জেন্টিনার কাছে ৬-১ গোলে হারের পর থেকে তাদের সঙ্গে অপ্রতিরোধ্য প্যারাগুয়ে। দুই দেশের লড়াইয়ে চার ম্যাচ ধরে অপরাজিত থাকলো তারা। বিশ্বকাপ বাছাইয়ের তৃতীয় ম্যাচে প্রথমার্ধে লিড নেয় সফরকারীরা। আনজেল রোমেরোর গোল প্যারাগুয়েকে এগিয়ে দেয়। তবে নিকোলাস গনসালেসের হেডে সমতা ফেরায় আর্জেন্টিনা।
সমতা ফেরানোর পর থেকে আর্জেন্টিনা ম্যাচে দাপট দেখায়। দেখা পায় দ্বিতীয় গোলের। উচ্ছ্বসিত সতীর্থদের আলিঙ্গনে আবদ্ধ হন মেসি। গোল উদযাপন শেষ হতেই তাদের অবাক করে দিয়ে ভিএআর যাচাই করতে যান রেফারি ক্লাউস। স্বাগতিকদের গোল হওয়ার সময় ৩০ সেকেন্ড আগে একটি ফাউলের সূত্র ধরে আর্জেন্টাইনদের হতাশ করেন তিনি।
২১ মিনিটে আর্জেন্টিনার ডিফেন্ডার লুকাস মার্তিনেস বক্সের ভেতর ফাউল করেন মিগুয়েল আলমিরনকে। পেনাল্টি থেকে ঠাণ্ডা মাথায় টানা তিন ম্যাচে তৃতীয় গোল করেন রোমেরো। এরপর আর্জেন্টিনা বল দখলে আধিপত্য বিস্তার করে কিন্তু সুযোগ তৈরি করতে পারছিল না সেভাবে। তবে বিরতির চার মিনিট আগে প্রথম আন্তর্জাতিক গোল করেন গনসালেস। প্রথমার্ধে বদলি নামা জিওভানি লু চেলসোর কর্নার কিক থেকে শক্তিশালী হেডে সমতা ফেরান তিনি।
স্কোর ১-১ করার পর উজ্জীবিত হয়ে ওঠে আর্জেন্টিনা। রোদ্রিগো দে পলের দূরপাল্লার ড্রাইভ পরীক্ষায় ফেলে দিয়েছিল প্যারাগুয়ে গোলকিপার আন্তোনি সিলভাকে। পল ব্যর্থ হওয়ার পর দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে লাউতারো মার্তিনেস সুযোগ নষ্ট করেন। প্যারাগুয়ের ডিফেন্ডার গুস্তাভো গোমেসও হারান গোলের সুযোগ।
৫৭ মিনিটে লু চেলসোর কাটব্যাক থেকে মেসি লক্ষ্যে শট নেন। সিলভার হাতে লেগে বল জড়ায় জালে। তাতে শুরুতে পিছিয়ে পড়া আর্জেন্টিনা এগিয়ে যাওয়ার উল্লাসে মাতে। কিন্তু নাটকীয়ভাবে তা বাতিল হয়।
শুরুটা হয়েছিল এভাবে। গোলপোস্ট থেকে ৫০ মিটার দূরে রেফারি ও লাইন্সম্যানের সামনেই রোমেরোকে ফাউল করেন গনসালেস। বিষয়টিকে আমল না দিয়ে খেলা চালিয়ে যাওয়ার অনুমতি দেন তারা। এরপর ১০টিরও বেশি পাস থেকে গোল করে আলবিসেলেস্তেরা। কিন্তু গোল হওয়ার পর ওই ফাউলটি বিবেচনায় এনে ভিএআর দেখে আর্জেন্টিনার হাসি কেড়ে নেন রেফারি।
৭২ মিনিটে আবারও গোলের খুব কাছে গিয়েছিলেন মেসি। সিলভা তার ফ্রি কিক ক্রসবারের ওপর দিয়ে মাঠের বাইরে পাঠান। বাকি সময়ে দুই দল জয়সূচক গোলের দেখা পায়নি।
তিন ম্যাচ শেষে অপরাজিত থাকলো দুই দল। ৭ পয়েন্ট নিয়ে দক্ষিণ আমেরিকান অঞ্চলের পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে আর্জেন্টিনা। এক ম্যাচ কম খেলে তাদের চেয়ে ১ পয়েন্ট কম নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে ব্রাজিল (৬)। প্যারাগুয়ে পাঁচ পয়েন্ট নিয়ে চতুর্থ স্থানে।