মো: নজরুল ইসলাম, মুরাদনগর(কুমিল্লা) প্রতিনিধি:
মামলার সূত্রে জানাগেছে, বুধবার বিকালে গাঁজা নিয়ে লালমাই যাবে এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মুরাদনগর থানার এসআই জাহাঙ্গীর আলম সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে কুমিল্লা-ব্রাক্ষণবাড়িয়া সড়কের কোম্পানীগঞ্জ এলাকার ফাতেমা ব্রিকসের পাশে অবস্থান নেয়। এসময় সিএনজি তল্লাশী করে চার কেজি গাঁজাসহ চার যুবকে আটক করা হয়।
আটককৃত যুবকরা হলো, লালমাই থানার দরবেশ পাড়ার সুরুজ মিয়ার ছেলে মোঃ নুরুল হক (৪২), কসবা থানার হরিপুর গ্রামের মফিজুল ইসলাম মাস্টারের ছেলে এনামুল হক (২৮), সাগরতলা গ্রামের শাহজাহানের ছেলে সুজন মিয়া (২৫), ব্রাক্ষণবাড়িয়া সদর থানার উত্তর মোড়াইলের শাহিন মিয়ার ছেলে সাজ্জাদ হোসেন (৩০)।
অপরদিকে বৃহষ্পতিবার সকালে উপজেলার বাখরনগর বাজার থেকে পয়ষট্টি বছরের বৃদ্ধা গাঁজার রাণী মরিয়ম বেগমকে আটক করা হয়েছে। সে বাখরনগর ৭নং ওয়ার্ডের মৃত আব্দুল খালেকের স্ত্রী।
স্থানীয় সূত্রে জানাযায়, মরিয়ম বেগম প্রায় ত্রিশ বছর গাঁজা ব্যবসার সাথে জড়িত। বাখরনগর এলাকায় তাকে গাজাঁর রাণী বলা হয়। এর আগে পুলিশ তার বাড়িতে অভিযান চালালে সে পালিয়ে যায়।
তখন ঘর থেকে গাজাঁসহ মরিয়ম বেগমের ছেলে কবির হোসেনকে আটক করে জেল হাজতে পাঠায় পুলিশ। ওই সময় খালেক মিয়ার পরিবারের বিরুদ্ধে মাদক বিরুধী মানবন্ধনও করেছিল এলাকাবাসী। সে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর চোখ ফাঁকি দীর্ঘ দিয়ে ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছেন।
মুরাদনগর থানা অফিসার ইনচার্জ আবুল হাসিম বলেন, মহিলা খুব চালাক প্রকৃতির লোক। তাকে গাঁজাসহ বাখরনগর বাজার থেকে আটক করে পুলিশ। পরে তার বাড়িতে গিয়ে তল্লাশীকে আরো গাঁজা উদ্ধার করা হয়। বৃদ্ধ মরিয়মসহ আরো চার যুবকে পৃথক স্থান থেকে গ্রেফতার পূর্বক মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামালা দায়ের করে বিজ্ঞ আদালতের মাধ্যমে কুমিল্লা জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।