সোহেলুর রহমান, ভৈরব ॥
কিশোরগঞ্জের ভৈরবে মেঘনা নদীর উপর নির্মিত রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমান রেলওয়ে সেতুর উপর দিয়ে জনসাধারণের চলাচল করা রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের নিষেধ থাকলেও তা মানছেনা সাধারণ জনগণ। লোকজন অবাধে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এ সেতুর উপর দিয়ে ভৈরব থেকে আশুগঞ্জ যাতায়াত করছে। সেতুর উপর দিয়ে এ ভাবে চলাচলের কারণে এ পর্যন্ত ব্রীজের উপর ও প্রবেশমুখে হত্যাকান্ডসহ প্রতিনিয়তই ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটছে। এ সকল ঘটনায় ভৈরব রেলওয়ে থানায় হত্যাকান্ডসহ ছিনতাইয়ের ঘটনায় বেশ কয়েকটি মামলাও হয়েছে।
জানা যায়, পুরাতন রেলব্রীজ ও দ্বিতীয় রেল ব্রীজে পাড়াপাড় নিষেধ থাকলেও দুই প্রান্তে কোন গার্ড না থাকায় দল বেঁধে ব্রীজের উপর দিয়ে চলাচল করছে শিশু-কিশোর সহ বিভিন্ন বয়সের লোকজন। এতে দূর্ঘটনার শিকার হচ্ছে অনেকই। অপরদিকে একটি সংঘবদ্ধ ছিনতাইকারী চক্র ব্রীজ দেখতে আসা দর্শনার্থী ও পথচারীদের জিম্মি করে লুটে নিচ্ছে মুলবান জিনিস পত্র। ছিনতাইকারীদের হাতে বহু লোকজন আহত ও নিহত হওয়ারও ঘটনা ঘটছে। কেপিআইভুক্ত এলাকায় সর্বসাধারণের প্রবেশ নিষিদ্ধ থাকলেও কৃর্তপক্ষ সে দিকে নজর দিচ্ছে না। শুধুমাত্র সাইনবোর্ড লাগিয়েই তাদের দায় এড়ানোর চেষ্টা করছে বলে স্থানীয়দের অভিযোগ।
পথচারিরা বলেন, সেতুর উপর দিয়ে চলাচলে কোন বাধা না থাকায় আমরা নদীর এপার ওপার চলাচল করে থাকি। এখানে প্রশাসনের কোন লোক দেখিনা চলাচলে নিষেধ করতে। আর সাইন বোর্ডের দিকে তাকানোর সময় নাই। আবার অনেকে লেখাপড়া জানেনা বিধায় সাইন বোর্ডে লেখঅর গুরুত্ব বুঝেনা।
ব্রীজের প্রবেশ মুখে বিনোদন প্রেমীরা বলেন , এ যায়গাটা অবসর সময় কাটানোর মত উপযোগী। এখানে আসলে খূব ভাল লাগে। পরিবারের সদস্যদের নিয়ে কিছু সময় ছবি তুলে আনন্দ উপভোগ করি। প্রশাসনের লোকজন এখানে কেউ নেই। থাকতেও কখনো দেখিনী। যখন প্রশাসনের পক্ষ থেকে বাধা আসবে তখন আর লোকজন এখানে আসবেনা।
ব্রীজ সংলগ্ন পুলিশ ক্যাম্পের এ এস আই রফিকুল ইসলাম বলেন, আমরা ৮জন সদস্য ব্রীজঘাট এলাকার সার্বিক নিরাপত্বার দায়িত্বে নিয়োজিত আছি। সকাল আটা থেকে রাত রাত দশটা পর্যন্ত এখানে পালাক্রমে ডিউটি করে থাকি। আমরা ভৈরব থানার দায়িত্বে এখানে নিয়োজিত।
ভৈরব থানার অফিসার ইনচার্জ মোখলেছুর রহমান বলেন, যায়গাটা কে পি আই এলাকা হিসেবে রেরওয়ে কর্তৃপক্ষের স্বীকৃত। তাই ব্রীজের নিরাপত্বায় ঐখানে আমাদের পুলিশ সদস্যরা দিনে রাতে পাহাড়ার দায়িত্বে নিয়োজিত রয়েছেন।
ভৈরব রেলওয়ে থানার ওসি আব্দুল মজিদ (পিপিএম) বলেন, রেল লাইনের ওপর চব্বিশঘন্টা একশ চোয়াল্লিশ ধারা জারি রয়েছে। ব্রীজের ওপর দিয়ে দিয়ে মানুষের হাটা চলা সম্পূর্ণ বেআইনী ও নিষেধ। তারপরও মানুষ ব্রীজের উপর দিয়ে চলাচল করে থাকে। এ কারণে আমাদের রেলওয়ে পুলিশ প্রায়ই অভিযান চালিয়ে ঐখান থেকে সাধারণ মানুষকে তাড়িয়ে দেয়া হয় আবার অনেক সময় নিষেধ অমান্য করে কেপিআই এলাকায় চলাচলের কারণে অনেকের বিরুদ্ধে আইন ব্যবস্থাও নেয়া হয়ে থাকে। এ ছাড়া ঐ এলাকাটায় ছিনতাইকারিদের উৎপাত থাকে বেশি। বেশ কিছু ছিনতাইসহ হত্যাকান্ডও ঘটেছে এ ব্রীজ এলাকায়।
#################
মোবাইল ঃ ০১৭৮৩-৮১ ৮৯ ৯৫, তারিখ ঃ ২৬.০৬.১৯।