রিপোর্ট, মোঃ ছাবির উদ্দিন রাজু বিশেষ প্রতিনিধিঃ
কিশোরগঞ্জের ভৈরবে ভাংচুর ও লুটপাটের মিথ্যা অভিযোগ এনে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে মানববন্ধন করার প্রতিবাদে পাল্টা বিক্ষোভ মিছিল ও মানব করেছে কয়েক শতাধিক গ্রামবাসী।
রবিবার বিকেলে বাঁশগাড়ি বাগানের সামনে এ মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।
এলাকাবাসী লোকজনের জানান, মিথ্যা অভিযোগে অভিযুক্ত উপজেলার গজারিয়া ইউনিয়নের বাঁশগাড়ি গ্রাম ৯নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য বাদল মিয়া এখন ভালো মানুষ। ফলে দুই দুইবার বিপুল ভোটের মেম্বার নির্বাচিত হয়। পরিষদের বর্তমান ও সাবেক চেয়ারম্যান, ইউপি সদস্য ও গ্রামবাসী লোকজন তার ভালো ব্যবহার ও আচরণের কারণে
তাকে অনেক সম্মান করেন। কিন্তু সম্প্রতি একটি ক্রিকেট খেলাকে কেন্দ্র করে একই গ্রামের ৮নং ওয়ার্ড বনানী পাড়ার সাবেক বিজেপি সদস্য আমজাদ সওদাগর তুচ্ছ ঘটনায় খেলোয়াড় যুবকদের সাথে আচরণ খারাপ করেন। এঘটনায় কেউ হয়ত তার বাড়িতে সামান্য হামলা করে থাকতে পারে। কিন্তু আমজাদ সওদাগর ঘটনাটি নিজে বড় করে সাজিয়ে এবং মিথ্যা চাঁদা দাবির অভিযোগ এনে ৯নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য বাদল মিয়া ও তার বাড়ির লোকজনকে অভিযুক্ত করেন।
এলাকাবাসী লোকজন আরও বলেন, আমজাদ সওদাগর বিজেপির একজন চাকরিচ্যুত সদস্য। এখন বাড়িতে এসে মসজিদের নামে ধর্মপ্রাণ মানুষের কাছ থেকে অনুদান এনে একটি মসজিদ নির্মাণ করছেন। এটা তার একটা নতুন ধান্দা। মসজিদের কোন কমিটি নেয়। সে নিজেই সবকিছু একা করে। মুলত মসজিদের ৮/১০লাখ টাকা মেরে দেয়ার জন্য এসব মিথ্যা নাটক সাজিয়েছেন। তাছাড়া সে পুরোনো আইডি কার্ড ব্যবহার করে মানুষকে বোকা বানিয়ে টাকা নিতেন। তার এসব অপকর্মের কারণে এলাকার কেউ তাকে ভালো চোখে দেখেনা। তার কাছ থেকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পুরোনো আইডি কার্ড ও জ্যাকেট উদ্ধার করে শাস্তির আওতায় আনলে সাধারণ মানুষ তার হয়রানি থেকে মুক্তি পাবে বলে এলাকাবাসী দাবি জানান।
এবিষয়ে বাদল মিয়া মেম্বার তার বিরুদ্ধে আনিত সকল অভিযোগ অস্বীকার করেন এবং তার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে হয়রানি করার প্রতিবাদ জানিয়েছেন। এবং অভিযোগকারী মিথ্যা অপবাদ দেয়ার সুষ্ঠু বিচার দাবি করেন।
আমজাদ সওদাগর বলেন, মসজিদ কমিটির টাকা থেকে ১লাখ টাকা চেয়েছিল বাদল মিয়া। উক্ত টাকা না দেয়ার কারনে গত শুক্রবার জুম্মার নামাজের মুহূর্তে তুচ্ছ একটা ঘটনায় তার বাড়িতে দলবল নিয়ে হামলা চালায় বাদল মিয়া। এময় বাড়ী ঘর ভাংচুর করে এবং ঘরে থাকা মসজিদ কমিটির ৮ লাখ ৭৬ হাজার টাকা ও ৯ভরি স্বর্ণ লুটপাট সহ তার অন্তঃসত্তা স্ত্রীকে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ করেন।
এবিষয়ে গজারিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুছ সালাম শাহরিয়ার বলেন, আমি ওসি সাহেবের সাথে কথা বলে দু দিনের সময় চেয়ে নিয়েছি। এসময়ের ভিতরে কিভাবে বিষয়টি সুন্দর ভাবে মীমাংসা করা যায় তার জন্য চেষ্টা করছি।