আশরাফ আলী বাবু ঃ
কিশোরগঞ্জের ভৈরব উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক ফেরদৌস হায়দারকে লাঞ্ছিত করার অভিযোগে পৌর কাউন্সিলর হাজি মোমেন মিয়াসহ তাঁর কয়েকজন সমর্থকের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দেওয়া হয়েছে। আজ শনিবার বিকেলে ভৈরব থানায় ফেরদৌস হায়দার এ অভিযোগ দায়ের করেন।
হাসপাতালে রোগী ভর্তির প্রয়োজন না থাকলেও ভর্তির ব্যাপারে অন্যায় দাবি না মানায় কাউন্সিলর মোমেন ও তাঁর কয়েকজন সমর্থক ফেরদোউস হায়দারকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করেছেন বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়।
এদিকে চিকিৎসক লাঞ্ছনার অভিযোগ অস্বীকার করে পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ও ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি মোমেন মিয়ার সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে তার মুঠোফোন বন্ধ পাওয়া যায়। প্রত্যক্ষদর্শী এলাকাবাসীর সাথে কথা বলে জানা যায়, গত রাতে ১ ঘটিকার সময় কালিকাপ্রসাদের এলাকার মসজিদ কমিটি নিয়ে ঝগড়া করে যারা আহত হয়েছিল তাদের কিছু লোক এখানে চিকিৎসা নিতে এসেছিল। এরমধ্যে ভর্তি অযোগ্য রোগীদের (কম আহত) ভর্তি করাতে ডাক্তারের উপর চাপ প্রয়োগ করে, ডাক্তার রাজি না হওয়াতে তার উপর শারীরিক নির্যাতন চালায়।
জানা যায়, গতকাল শুক্রবার বিকেলে ভৈরবের কালিকাপ্রসাদ এলাকায় মসজিদ পরিচালনা কমিটি গঠনকে কেন্দ্র করে গ্রামের দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে প্রায় ৫০ জন আহত হয়। পরে আহত লোকজন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিতে যান। সেখানেই এই লাঞ্ছনার ঘটনা ঘটে।
রাত ১টার দিকে আহত কয়েকজন রোগীকে হাসপাতালে ভর্তি করতে কাউন্সিলর মোমেন কর্তব্যরত চিকিৎসক ফেরদৌস হায়দারকে অনুরোধ করেন। অল্প আহত রোগী ভর্তি উপযোগী নন বলে উল্লেখ করেন চিকিৎসক। এ নিয়ে মোমেন মিয়া ও ফেরদৌস হায়দারের মধ্য তর্কাতর্কির এক পর্যায়ে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান।
অনাকাঙ্ক্ষিত এই ঘটনায় আজ শনিবার দুপুরে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসকসহ ও স্থানীয় বিএমএ নেতারা এক সভায় মিলিত হন। পরে সভার সিদ্ধান্ত মোতাবেক পৌর কাউন্সিলর মোমেন মিয়ার বিচারের দাবিতে থানায় একটি অভিযোগ দাখিল করা হয়।