জাতীয়

ভৈরবে নমুনা পরিক্ষার রিপোর্ট দেরীতে আসায় দিন দিন বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা


জয়নাল আবেদীন রিটন, বিশেষ প্রতিনিধি।
কিশোরগঞ্জের ভৈরবে করোনার নমুনা পরিক্ষার রিপোর্ট দেরীতে আসায় দিন দিন বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। ভৈরব উপজেলার তত্ত্বাবধানে আইসোলেশান সেন্টারে প্রতিদিন গড়ে ৮০ থেকে ১০০ জনের নমুনা সংগ্রহ করা হচ্ছে। নমুনা দেওয়ার পর রিপোর্ট আসতে ৫ থেকে ৭ দিন সময় লেগে যাচ্ছে। রিপোর্ট পাওয়ার অপেক্ষায় থাকা লোকজন অবাধে হাট বাজারসহ সর্বত্র চলাফেরার কারনে আক্রান্রে সংখ্যা বেড়েই চলেছে। নমুনা দেওয়ার সপ্তাহ খানেক পর দেখা গেছে রিপোর্ট এসেছে পজেটিভ। ফলে রিপোর্ট দেরিতে আসায় আক্রান্ত ব্যাক্তির মাধ্যমেও করোনায় আক্রান্ত হচ্ছেন আরো অনেকেই। ভোক্তভোগী সহ একাবাসীর দাবী করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা রোধ করতে ভৈরবে পিসিআর ল্যাব স্থাপন অতি জরুরী। এ ছাড়াও নমুনা দেয়ার পর প্র্েরত্যক ব্যক্তি কে ১৪ দিন হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকার নির্দেশনা রয়েছে। সে নির্দেশ অমান্য করেও অনেকে বাহিরে ঘোরাফেরা করতে দেখঅ যায়। ফলে ভৈরবে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা আশংকা জনক হারে বেড়েই চলেছে।
জানাযায়, করোনার শুরু থেকে ভৈরবে আক্রান্তের সংখ্যা অনেকটাই কম ছিল্।ো কিন্তু রমজানের ঈদ কে সামনে রেখে ভৈরব বাজারের মার্কেটগুলো খুলে দেত্তয়ায় লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়তে থাকে আক্রান্তের সংখ্যা। এর পর পরই কিশোরগঞ্জে পিসিআর ল্যাব স্থাপন করা হয়। এ ল্যাবে প্রতিদিন ৯৪ টি নমুনা পরিক্ষায় সক্ষমতা রয়েছে। তার বিপরিতে ১৩টি উপজেলা থেকে ৪০০ শর মত নমুনা পাঠানো হয়। এই পরিস্থিতিতে বাকী নমুনা ঢাকার বিভিন্ন ল্যাবে পরিক্ষার জন্য পাঠানোর কারণে এই নমুনা জট বেড়েছে। আজ পর্যন্ত ভৈরবে ৭ দিনের নমুনা পরিক্ষার ফলা ফল সেখনো আটকে আছে। ১৩ উপজেলায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ১৩৬৬ ভৈরবে ৪৮৪ জন।করোনায় মৃত্যু হয়েছে ১০জনের উপসর্গ নিয়ে মারা গেছে ১৬ জন। এমন পরিস্থিতিতে পিসিআর ল্যাব স্থাপনের দাবী ভোক্তভোগী সহ এলাকাবাসীর।
নমুনা প্রদান কারী ও আক্রান্ত রোগীরা জানান, গত এক সপ্তাহ হয়েছে পরীক্ষার জন্য নমুনা দিয়েছি। এখনো রিপোর্ট আসেনি। যদি ভৈরবে একটি ল্রাব থাকতো তাহলে আমরা দু এক দিনের মধ্যেই রিপোর্ট পেয়ে যেতাম। তখন আক্রান্ত ব্যাক্তিটি জানতে পারতো সে করোনায় আক্রান্ত। তখন হয়তো আক্রান্ত ব্যাক্তিটি বাড়ির বাহিরে যেতনা বা পরিবারকে সু-রক্তি রাখতে নিজেই সতর্কতা অবলম্ভন করতো। নমুনা পরীক্ষার জন্য ভৈরবে একটি পিসিআর ল্যাব স্থাপন করলে সবার জন্য ভাল হতো।
উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ও করোনা সংক্রমন প্রতিরোধ কমিটির সদস্য সচিব ডাক্তার বুলবুল আহম্মদ জানান, এমন পরিস্থিতিতে নমুনার জট কমাতে ভৈরবে পিসিআর ল্যাব স্থাপনের জন্য চিঠি দেত্তয়া হয়েছে সংশ্লিষ্ট উধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে। আশা করছি অচিরেই ভৈরবে করোনার জট কমে আসবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *