কাজী ফয়সাল আহমেদ:
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রহুল কবির রিজভী বলেছেন, বাংলাদেশের জনপ্রিয় নেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে আপনি জোর করে বন্দি করে রেখেছেন। দেশনেত্রীকে তিলে তিলে শেষ করার এক গভীর ষড়যন্ত্র মেতে আছে শেখ হাসিনা। গতকাল দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নেয়া হয়েছে। এটা কি গভীর ষড়যন্ত্রের অংশ? দেশনেত্রীকে আপনি তিলে তিলে নিঃশ্বাস করতে চান?
রবিবার (১৪ নভেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে স্বাধীনতা ফোরাম আয়োজিত ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি রাজিব আহসানের মুক্তি দাবিতে এক মানববন্ধনে তিনি এ কথা বলেন।
রিজভী বলেন, এই বাংলাদেশে কিন্তু কখনই কোন স্বৈরশাসকে বেশিদিন টলারেট করেনি। আপনার সরকার পতনের ঘন্টা চারিদিকে বাচ্চা।
তিনি বলেন, আমি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের একটি সার্কুলার দেখলাম স্কুল এবং প্রাইমারি স্কুলে যারা ভর্তি হবে তাদেরকে শপথ নিতে হবে শেখ রাসেলের নামে বঙ্গবন্ধুর নামে আমরা পঁচাত্তরের মর্মান্তিক হত্যাকাণ্ডের তীব্র নিন্দা জানাই। কিন্তু আপনার পরিবর্তে একটি রাজনৈতিক দলে বিশ্বাস করে, তাদের নামে আমাদের কোমলমতি ছাত্র শপথ নিবে কেন? শিক্ষা মন্ত্রণালয় সরকার একটি বিভাগ তারা এরকম সার্কুলার দিবে কেন? এটা উদ্দেশ্যটা কি?
তিনি আরো বলেন, ঢাকা শহরে ৫০টা ক্যাসিনো আছে। এগুলার মালিক ছাত্রলীগ-যুবলীগ। এটা কিসের যন্ত্র? প্রধানমন্ত্রী আপনি বলেন তারেক রহমান বিদেশে বসে ষড়যন্ত্র করছে। জনগণের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে আপনি ১৪ বছর ক্ষমতায়।
দলীয় নেতাকর্মীদের মুক্তি চেয়ে রিজভী বলেন, আমরা সকল ছাত্রবৃন্দ বিএনপি নেতৃবৃন্দের মুক্তি চাই। এই মুহূর্তে জন্য আপনাদের শপথ নিতে হবে শেখ হাসিনার নীল নকশা ব্যর্থ করে দিতে হলে আমাদের রাজপথে স্থায়ীভাবে থাকতে হবে।
মানববন্ধনে আরো, সভাপতি আবু নাসের মুহাম্মদহাম্মদ রহমতুল্লাহ এর সভাপতিত্বে মানববন্ধনে অন্যদের মধ্যে বাংলাদেশ জাতীয় দলের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট সৈয়দ এহসানুল হুদা, বিএনপির প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, যুবদলের সাধারণ সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, কৃষক দলের সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম বাবুল, ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রশিদ হাবিব, আকরামুল হাসান মিন্টু, ছাত্রদলের সভাপতি ফজলুল হক খোকন,সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন শ্যামল প্রমুখ বক্তৃতা করেন।