প্রতিবেদক, চিফ রিপোর্টস ,আশরাফ আলী বাবু: নরসিংদীতে যাত্রীবাহী বাস ও লেগুনার মুখোমুখি সংঘর্ষে নারী ও শিশুসহ ৫ জন নিহত ও ১০জন আহত হয়েছেন। আজ ২০ জুলাই শুক্রবার রাত নয়টায় ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের শিবপুর উপজেলার কোন্দারপাড়া বাসস্ট্যান্ডের অদূরে খড়কমারা এলাকায় এ দূর্ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলেন, নরসিংদী জেলার রায়পুরা উপজেলার রামনগর এলাকার মোজাম্মেল হোসেনের স্ত্রী শরিফা বেগম (৪৫), মেয়ে জান্নাত (১৮), শিশু বায়েজিদ(৭), হাসিনা (৩৫) অজ্ঞাত পুরুষ (২০)। নিহতরা সবাই রামনগর এলাকার বাসিন্দা। আহতরা হলেন, রাশিদা বেগম (৩৫), আসাদ মিয়া (৪০) জাকিয়া আক্তার (৩০) সহ অজ্ঞাত ৭ জন।
প্রত্যক্ষদর্শী ও ফায়ার সার্ভিস সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার রাত ৯টায় পাঁচদোনা ড়্রীমহলিডে পার্ক থেকে রায়পুরায় নিজ বাড়ীতে লেগুনা যোগে ফেরার পথে সিলেট থেকে ঢাকা গামী এনা পরিবহনের একটি যাত্রীবাহী বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে ঘটনাস্থলেই ২ জন নিহত হয় এবং হাসপাতালে নেওয়ার পর আরো ৩ জন মারা যায়। পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস সূত্রে জানা যায়, রায়পুরা উপজেলার রামনগর এলাকার শিশু, নারী-পুরুষের প্রায় ৭০/৮০ জনের একটি দল শুক্রবার নরসিংদীর ড্রীম হলিডে পার্কে আনন্দ ভ্রমন শেষে রাতে ফেরার পথে একটি লেগুনা ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের কোন্দারপাড়া বাসস্ট্যান্ডের অদূরে খড়কমারা এলাকায় পৌঁছালে সিলেট থেকে ছেড়ে আসা ঢাকা গামী এনা পরিবহনের একটি যাত্রীবাহী বাসের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই ২জন এবং নরসিংদী জেলা হাসপাতালে গুরুতর আহত অবস্থায় আনার পথে ৩ জন মারা যায়। নরসিংদী ফায়ার সার্ভিসের উপ সহকারি পরিচালক মো. শফিকুল ইসলাম ভূইয়া সমকালকে জানান, ‘খবর পেয়ে আমরা দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌছে দুর্ঘটনাস্থল থেকে আহতদের উদ্ধার করে নরসিংদী জেলা হাসপাতালে নিয়ে আসি। দুর্ঘটনায় মোট ৫ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন প্রায় ১০ জন। আহতদের মধ্যেও কয়েকজনের অবস্থা আশংকাজনক।’ এর মধ্যে উন্নত চিকিৎসার জন্য ৫জনকে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। নরসিংদী জেলা হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) এমএন মিজানুর রহমান বলেন, ‘আমাদের জেলা হাসপাতালে মোট ১২ জনকে আনা হয়েছে। এর মধ্যে ৩ জন মারা গেছেন। আর ৬ জনকে ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে গুরুতর অবস্থায় পাঠানো হয়েছে। আর নরসিংদী সদর হাসপাতালে একটি শিশু ও একজন নারীর লাশ রয়েছে। সবমিলিয়ে মোট ৫ জন নিহত হয়েছেন।’ নরসিংদী অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শফিউর রহমান হতাহতের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।