নরসিংদী থেকে রেজাউল আলম বিপ্লব:
নরসিংদীতে করোনা উপসর্গ নিয়ে ২ জনের মৃত্যু হয়েছ,এ নিয়ে জেলায় মৃত্যুর সংক্ষা দাড়াল ৭ জন।গত ২৬ মে নরসিংদীর পৌর এলাকার দিলীপ (৫৬) নামে এক ব্যাক্তি করোনা উপসর্গ নিয়ে নরসিংদীর ১০০ শয্যা হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন।অপর দিকে বেলাব উপজেলার আমলাব ইউনিয়নের পাহাড় উজিলাব গ্রামের ফয়েজ উদ্দিন (৪৫) নামে এক ব্যাক্তি করোনা উপসর্গ নিয়ে মারা যান।পারিবারিক সুত্রে জানাযায় তিনি গাজীপুরের একটি বিস্কিট কোম্পানীতে চাকরি করতেন।২৪মে তিনি বাড়িতে আসেন এবং ২৫ মে ঈদের দিনের সকাল সাড়ে এগারটায় মারা যান।নরসিংদীর সিভিল সার্জন ডাঃ মোহাম্মদ ইব্রাহিম টিটন জানান সদর উপজেলার বাসিন্দার দীপক ২৬ মে নরসিংদী ১০০ শয্যা হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন। তার নমুনা সংগ্রহ করে ঢাকা পাঠাইলে ২৮ মে তার রিপোর্ট পজিটিভ আসে।অপর দিকে বেলাব উপজেলার বাসিন্দার মোঃ ফয়েজ উদ্দিন (৪৫) ২৫ মে তার নিজ বাড়িতে মৃত্যুবরণ করেন। তারও নমুনা সংগ্রহ করা হয় এবং ২৯ মে রিপোর্ট আসে পজিটিভ। জেলায় মৃত্যুর সংক্ষা সর্বমোট সাত জন। সদর উপজেলার ৫ জন,বেলাব উপজেলার একজন এবং পলাশ উপজেলার একজন।এ পর্যন্ত সেম্পল সংগ্রহ করা হয়েছে ৩৩৮১টির, রিপোর্ট পেয়েছি ৩০৩০ জনের।জেলায় মোট পজিটিভ রোগীর সংক্ষা ৫১৮ জন। সদর উপজেলায় ৩৫৭ জন,শিবপুর উপজেলায় ৩৬ জন,পলাশ উপজেলায় ৩৪ জন,মনোহরদী উপজেলায় ১৩ জন,বেলাব উপজেলায় ৩৭ জন ও রায়পুরা উপজেলায় ৪১ জন। হোম আইসোলেশনে আছেন ২৯৮ জন,হাসপাতাল আইসোলেশনে আছেন ১৯ জন,সুস্থ হয়েছেন ১৯৪ জন। করোনা উপসর্গ নিয়ে মৃত্যুবণ করা এলাকায় সরেজমিনে গেলে দেখা যায় স্বাস্থ্যবিধি এবং সামাজিক দুরত্ব বজায় না রেখেই চা স্টলসহ নিয়মিত চলছে ব্যাবসা প্রতিষ্ঠান। করোনাকে বিশ্বাস করতে নারাজ হাম জনতা। বেলাব উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শামিমা শরমিন ও ওসি ফখরুদ্দীন ভুইয়া জানান জনগনকে ঘরে রাখতে ও সরকারে নির্দেশনা মেনে চলতে আমরা সার্বক্ষনিক কাজ করে যাচ্ছি। করোনা উপসর্গ নিয়ে মৃত্যুবরণকারী ফয়েজ উদ্দিন ও তার সংস্পর্শে আসা ব্যাক্তিদের বাড়ি কোয়ারেন্টাইন ঘোষণা করা হয়েছে।কেউ আদেশ অমান্য করিলে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যাবস্থা নেওয়া হবে।