কিশোরগঞ্জ জেলা প্রতিনিধিঃ
কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচরে আপত্তিকর অবস্থায় প্রতিবেশীর হাতে ধরা পড়ে চাচা-ভাতিজি সম্পর্কের দুই তরুণ-তরুণী। পরে বিষয়টি নিয়ে এলাকায় আলোড়ন সৃষ্টি হলে ঘটনার ৮ দিন পর ভাতিজিকে বিয়ে করতে বাধ্য হয় চাচা।
একই বংশের এ দুই তরুণ-তরুণী আপন চাচা-ভাতিজি না হলেও রক্তের সম্পর্কের আত্নীয় বলে জানা যায়।
ঘটনাটি ঘটেছে গত ২৫ জুন বৃহস্পতিবার বিকেল ৪ টায় উপজেলার গোবরিয়া আব্দুলাপুর ইউনিয়নের মৌজরাই মোড় বাজারের উত্তর-পূর্ব পাশে তরুণীর নিজ ঘরে।
প্রতিবেশীর হাতে ধরা পরা তরুণের নাম মোঃ জাহাঙ্গীর। বয়স ২২ বছর। সে মৌজরাই গ্রামের শাহাব উদ্দিনের ছেলে। আর তরুণী একই বাড়ির মেয়ে। বয়স ২৪ বছর। তারা দু’জনেই অবিবাহিত।
জানা যায়, গত ২৫ জুন বৃহস্পতিবার বিকেল ৪ টার দিকে চাচা জাহাঙ্গীর তার ভাতিজি ওই তরণীর ঘরে যায়। বিষয়টি সন্দেহ হলে প্রতিবেশী সিরাজ মিয়ার পুত্র তমিজ উদ্দিন তমু ঘরের দরজার ফাঁক দিয়ে চাচা-ভাতিজিকে আপত্তিকর অবস্থায় দেখতে পায়। পরে ওই তরুণী সহ জাহাঙ্গীরকে হাতে-নাতে ধরে ফেলে।
তরুণী বলেন, জাহাঙ্গীরের সাথে তার ৪ বছরের প্রেমের সম্পর্ক।
তবে স্থানীয় সূত্র জানায়, বিভিন্ন সময় তারা অসামাজিক কর্মকাণ্ডে লিপ্ত হওয়ার গুঞ্জন এলাকায় আগেও চলছিল।
ঘটনার পর থেকে সমাজের লোকজন
তরুণীকে বিয়ে করার জন্য চাচা জাহাঙ্গীরের উপর চাপ দিয়ে আসছিল। কিন্তু জাহাঙ্গীর বিয়ে করতে রাজি না হওয়ায় টানা ৮ দিন বিষয়টি নিয়ে দেন-দরবার হয় এলাকায়। এক পর্যায়ে চাপের মুখে জাহাঙ্গীর ওই তরুণীকে বিয়ে করতে বাধ্য হয়। অবশেষে গত ৩ জুলাই শুক্রবার দিবাগত রাতে স্থানীয়দের উপস্থিতিতে আড়াই লক্ষ টাকা কাবিনমূলে বিয়ে সম্পন্ন হয়।
বিয়ে সম্পন্ন হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তরুণীর বাবা মোঃ দুধু মিয়া এবং মৌজরাই মোড় বাজারের ব্যবসায়ী মোঃ আলম ও তরুণীর নিকট আত্মীয় মোঃ রুবেল মিয়া।