রাসেদুজ্জামান রাসেল, ষ্টাফ রিপোর্টার:
ভৈরব শহরের বঙ্গবন্ধু সরণির আইডিয়াল স্কুলের পিছনে একটি ৬তলা বিল্ডিংয়ের ছাদে ফারদিন আলম রুপক নামে এক কিশোরকে জবাই করে হত্যা করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে আবু বক্কর মিয়ার বিল্ডিংয়ের ছাদে এ হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটে।
পুলিশ জনায়, বৃহষ্পতিবার রাত আনুমানিক ৯টার টার দিকে নিহত রুপকের তিন বন্ধু রেজাউল কবির খান, আরাফাত পাটোয়ারী, ফজলে রাব্বি ফোন করে কৌশলে রুপককে রাব্বিদের বাসার ছাদে নিয়ে আটকে রাখে। পরে তিনবন্ধু মিলে পরামর্শ করে রুপকের বাবার কাছ থেকে মুক্তিপন হিসেবে টাকা চাইবে। কিন্তু ধরা পড়ার ভয়ে টাকা চায়নি তারা। আবার ছাড়তে পারছেনা। শেষ পর্যন্ত তিন বন্ধু হত্যার সিদ্ধান্ত নেয়। রাত ১০টার দিকে তিন কিশোর মিলে বন্ধু রুপককে গলায় রশি পেঁছিয়ে অচেতন করার পর ধাঁরালো ছুঁরি দিয়ে জবাই করে হত্যা করে লাশ বস্তা বন্দি করে। নিহত রুপক নরসিংদী জেলার রায়পুরা উপজেলার গৌরিপুর গ্রামের নূরে আলম বিপ্লবের ছেলে। তারা ভৈরব বাজার হাজী ফুল মিয়ার বিল্ডিংয়ের ৫ম তলার ফ্লাটে ভাড়া থাকতেন।
নিহতের স্বজনরা জানান, গতকাল রাত ৯টার দিকে রুপক তাঁর বন্ধৃদের ফোন পেয়ে বাসা থেকে বের হয়। বেশি রাত হলেও বাসায় না ফেরায় পরিবারের লোকজন খোঁজাখুঁজি করে না পেয়ে ভৈরব থানায় রাত ২টায় একটি জিডি করেন। আজ শুক্রবার দুপুরে ভৈরব থানা পুলিশ বন্ধু রাব্বির বাসার ছাদ থেকে নিহত রুপকের বস্তাবিন্দ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কিশোরগঞ্জ সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।
এ ঘটনার জড়িত থাকার অভিযোগে তিন বন্ধুকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে হত্যার দায় স্বীকার করেছে আটকৃতরা। আটককৃতরা হলো- ফজলে রাব্বি (১৮) ভৈরবপুর দক্ষিণ পাড়ার মৃত কামাল মিয়ার ছেলে, মো. আরাফাত পাটোয়ারী (১৭), একই এলাকার শাজাহান পাটোয়ারীর ছেলে এবং রেজাউল কবির খান (১৭) ভৈরব রাণীবাজারের ফার্মেসী ব্যবসায়ী ওবায়দুল কবির খানের ছেলে।
ভৈরব থানা অফিসার ইনচার্জ মোখলেছুর রহমান জানান, রুপককে তাঁরই তিনবন্ধু বাসার ছাদে নিয়ে জবাই করে হত্যার পর লাশ বস্তাবন্দি করে পালিয়ে যায়। এঘটনায় জড়িত রাব্বি, আরাফাত ও রেজাউলকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আটকৃকতরা প্রাথমিক স্বীকারোক্তি দিয়েছে তারা তিনজন মিলেই রুপককে জবাই করে হত্যা করেছে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য কিশোরগঞ্জ মর্গে পাঠানো হয়েছে। এবিষয়ে হত্যা মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে জানান এ কর্মকর্তা।