সোহেলুর রহমান , ভৈরব প্রতিনিধি:
নরসিংদীর রায়পুরার কোহিনুর জুট মিল উচ্ছ বিদ্যালয়ের দুর্নীতির দায়ে বহিস্কৃত শিক্ষক আপন সহোদর দুই ভাই আতিকুর রহমান ও আহসান হাবিবের বিরুদ্ধে জালিয়াতির মাধ্যমে কোহিনুর জুট মিল উচ্ছ বিদ্যালয়ের নাম ও নিবন্ধন নাম্বার ব্যবহার করে আরেকটি বিদ্যালয় স্থাপন এবং এমপিও ভুক্তি হওয়ার প্রতিবাদে মানব বন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করেছে শিক্ষক শিক্ষার্থী ও এলকাবাসি। মঙ্গলবার বিকেল পাছটার সময় গরীপুর ঈদগাহ মাঠে এ মানব বন্ধন অনুষ্তি হয়। মানব বন্ধনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মুছাপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হোসেন ভুইয়া, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, আল মামুন, শামীম আহমেদ, শাখাওয়াত হোসেন, জয়নাল আবেদীন বাদল ও মুক্তিযোদ্ধা সোহরাব হোসেন।
মানব বন্ধনে বক্তার বলেন, বিভিন্ন স্কুল থেকে ছাত্র ছাত্রী এনে উপবৃত্তির তালিকায় নাম দিয়ে টিউশনি ফি উত্তোলন, মেধা বৃত্তির টাকা আত্মশাত , বিভিন্ন স্কুলের শিক্ষার্থীদের পরীক্ষায় উত্তীর্ন করিয়ে দেবার চুক্তিতে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেয়াসহ বিভিন্ন রকমের অনিয়ম দুর্নিিতর কারণে বহিস্কৃত সহোদর দুই ভাই আতিকুর রহমান ও আহসান হাবিবের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিয়ে শিক্ষার মান উন্নয়নে এবং শিক্ষক সমাজের ভাবমুর্তি উজ্জল রাখতে মানব বন্ধনে প্রধানমন্ত্রীর কাছে আবেদন জানান। এছাড়াও বিগত ৩৭ বছরের পুরনো গৌরবোজ্জল শিক্ষা প্রতিষ্টান গরীপুর কোহিনুর জুট মিলস উচ্ছ বিদ্যালয়টি আকিতক ও আহসান হােিবর কারণে ধ্বংসের দুয়ারে পৌচেছে।
কোহিনুর জুট মিল উচ্ছ বিদ্যালয়ের নামে অনতিদুরে আরেকটি বিদ্যালয় একই নাম ও নিবন্ধন নাম্বার দিয়ে স্থাপন করায় এবং এর এমপিও ভুক্তি বাতিল করে জালিয়াতির কারণে অভিযুক্ত দুই শিক্ষকের বিরুদ্ধে শাস্তি মূলক ব্যবস্থা নিতে সরকারের প্রতি দাবী জানান উক্ত মানব বন্ধন থেকে।
মুছাপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মোঃ হোসেন ভুইয়া বলেন, এ স্কুলে আতিক ও হাবিব নামে দুই সহোদর শিক্ষক হিসেবে ছিল। তাদেরকে দুর্নীতির দায়ে এখান থেকে বহিস্কার করা হয়। কমিটি তাদেরকে বহিস্কার করে। এখন তারা বিভিন্ন যায়গায় ঘোরাঘুরি করে এই স্কুলের নাম ও একই নিবন্ধনের নাম দিয়ে ঘাগটিয়া এলাকায় আরেকটা ক্যাম্পাস তৈরি করে। এ কারণে গরীপুর কোহিনুর উচ্ছ বিদ্যালয়ের বড় ধরনের একটা ক্ষতির কারণ হয়ে দাড়িয়েছে। তাদের ক্যাম্পাস ঠিক রাখার জন্য বিবিন্ন লোকজনের স্বাক্ষর জালিয়াতি করে আসছে এমনকি আমার নিজ স্বাক্ষরও জালিয়াতি করেছে বলে আমি জানতে পেরেছি। তারা দুই ভাইয়ের দুনীতি অনিয়মের কারণে এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। এসকল কারণে যে কোন সময় বড় ধরনের একটা দাঙ্গা হাঙ্গামা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আমি আশা করব অচিরেই এর একটা সুরাহা যেন হয়।
এ বিষয়ে বিদ্যালয়ের শিক্ষক আতিকুর রহমান জানান, কুহিনুর জুট মিল উচ্চ বিদ্যালয় নিয়ে একাধিক মামলা হয়েছে । কয়েকটি মামলা নিষ্পত্তি হয়েছে । এখনো ৪ টি মামলা চলমান রয়েছে । এছাড়া একই নামে ২ জায়গায় বিদ্যালয়ের কার্যক্রম মহামান্য আদালতের নির্দেশে চলছে । তবে তিনি আরো জানান, তাদের ২ ভাইকে বহিষ্কার নিয়মতান্ত্রিকভাবে করা হয়নি । যা তদন্তে দোষী প্রমাণিত হয়নি ।
এ বিষয়ে রায়পুরা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ শফিকুল ইসলাম বলেন, একই নামে ২টি স্কুল এ বিষয়ে শিক্ষামন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে তদন্ত চলছে । বিষয়টি আসলে জটিল ।তবে তদন্ত রিপোর্ট অনুযায়ী শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং শিক্ষা বোর্ডের সিদ্বান্ত অনুযায়ী পরবর্তীতে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে । এছাড়া তিনি আরো বলেন,২টি স্কুল হওয়াতে শিক্ষক সংকটে শিক্ষার্থীদের পাঠদান ব্যাহতের কথা স্বীকার করেন ।