মো: শাহনুর, ভৈরব প্রতিনিধি:
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ উপজেলা যুবলীগে অনুপ্রবেশকারী দিয়ে নবগঠিত কমিটি বাতিলের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছে সাবেক কমিটির নেতারা। তুুুুগতকাল রোববার দুপুরে আশুগঞ্জ প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত অভিযোগ পড়ে শুনান সাবেক কমিটির আহবায়ক মো. জিয়াউদ্দিন খন্দকার।
গত ২৪ জুলাই আশুগঞ্জ উপজেলা যুবলীগের যে কমিটি গঠন করা হয়েছে তা অবৈধ, বিতর্কিত ও গঠনতন্ত্র বহির্ভূত অগণতান্ত্রিক। কোন প্রকার কারন না দর্শিয়ে বহাল থাকা কমিটি বাতিল করা যুবলীগের গঠনতন্ত্র পরিপন্থি।তৃনমূলের কোন নেতাকর্মী এই কমিটিকে মেনে নেয়নি। জাতীয় পার্টির নেতার ছেলে ও বিএনপি নেতার ছেলেকে দিয়ে করা এই কমিটি চলতে থাকলে আওয়ামীলীগ এর সর্বনাশ হবে।
৩১ আগষ্টের মধ্যে এই অবৈধ, বিতর্কিত ও অনুপ্রবেশকারীদের কমিটি বাতিল করতে হবে। অন্যথায় পহেলা সেপ্টেম্বর থেকে ধারাবাহিকভাবে আন্দোলনের ঘোষনা দেন তিনি।
২০১৪ সালে কেন্দ্রীয় আওয়ামী যুবলীগ চেয়ারম্যান ওমর ফারুক চৌধুরী ও সাধারন সম্পাদক হারুনুর রশিদ স্বাক্ষরিত মো. জিয়াউদ্দিন খন্দকারকে আহবায়ক ও মো. শাহিন আলম বকশীকে যুগ্ন আহবায়ক করে আশুগঞ্জ উপজেলা কমিটির অনুমোদন করা হয়। এই কমিটির মেয়াদ তিন মাসের জন্য হলেও ৪ বছর পেরিয়ে গেলেও তারা সম্মেলন করতে ব্যর্থ হওয়ায় এবং সাংগঠনিক শৃঙ্খলা বিরোধী বিভিন্ন অভিযোগ দেখিয়ে এই কমিটি বিলুপ্ত করে জেলা যুবলীগ। পাশাপাশি মো. সাইফুর রহমান মনিকে আহবায়ক ও আতাউর রহমান কবিরকে যুগ্ম আহবায়ক করে ৩৭ সদস্যের একটি কমিটি করে ২৪ জুলাই নতুন কমিটির অনুমোদন দেয় জেলা কমিটি। এই কমিটি দেয়ার পর থেকেই উপজেলা যুবলীগ দু’গ্রæপে বিভক্ত হয়ে পাল্টাপাল্টি কর্মসূচী দিচ্ছে।
সংবাদ সম্মেলনে উপজেলা যুবলীগের সাবেক যুগ্ম আহবায়ক মো. শাহীন আলম বকসী, উপজেলা শ্রমিক লীগের সহ সভাপতি কামাল মুন্সি, সাধারণ সম্পাদক আবু মুছা, যুবলীগ নেতা হাসানুজ্জামান, জসিম উদ্দিন, তফসিরুল ইসলাম, আনোয়ার হোসেন, হারুনুর রশিদসহ বিভিন্ন ইউনিয়ন যুবলীগের নেতৃবৃন্দ ও বিভিন্ন প্রিন্ট ইলেকট্রনিক ও অনলাইন মিডিয়ায় কর্মরত সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।